নয়াদিল্লি: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নিয়ে কড়া আক্রমণের পথে হাঁটল কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি। আমেরিকার শুল্ক-বাণের মোকাবিলায় দুই দেশ কাছাকাছি এসেছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই পদক্ষেপকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়েছে দুই বিরোধী দল। হাত শিবিরের অভিযোগ, জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে তথাকথিত ড্রাগনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে চীনের দ্বিচারিতা নিয়ে সরব ভারত। এখন প্রধানমন্ত্রী মোদি চীনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে বলছেন, দুই দেশই সন্ত্রাসবাদের শিকার! এটা যদি তথাকথিত ড্রাগনের সামনে তথাকথিত হাতির আত্মসমর্পণ না হয়, তাহলে কী?’ অপারেশন সিন্দুরের সময় পাকিস্তানকে বেজিংয়ের সাহায্য নিয়ে মোদির নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন জয়রাম। তাঁর বক্তব্য, ‘শীর্ষ সেনাকর্তারাই জানিয়েছিলেন, অপারেশন সিন্দুরের সময় পাকিস্তান ও চীনের যুগলবন্দি চলছিল। অথচ তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুখে কুলুপ আঁটলেন। এটা আরও বড় দেশবিরোধী কাজ।’
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবেরও অভিযোগ, শুল্ক নিয়ে মার্কিন চাপের মুখে মোদি সরকার বিদেশ নীতি নিয়ে আপসের পথে হাঁটল। এজন্য ভারতের প্রতি বিরূপ মনোভাবাপন্ন চীনের কাছেই আশ্রয় নিয়েছে কেন্দ্র। এদিন সমাজবাদী পার্টির তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে অখিলেশ অভিযোগ করেছেন, আমেরিকা ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোয় ও আরও নিষেধাজ্ঞা জারির হুঁশিয়ারি দেওয়ায় বিজেপি সরকার চীনের শরণাপন্ন হয়েছে। তাঁর দাবি, অপারেশন সিন্দুরের সময় কোনও প্রতিবেশী দেশ ভারতের পাশে ছিল না। অথচ পাকিস্তান চীনের থেকে সব রকমের সাহায্য পেয়েছে। আর তথাকথিত বন্ধুত্বের কথা বলে আমেরিকা চড়া শুল্ক চাপিয়ে দিল। অখিলেশের প্রশ্ন, ‘চীন ভারতের বিরাট ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে। ১৯৬২ সালে ‘হিন্দি-চীনি ভাই-ভাই স্লোগানের পরিণতি কী হয়েছিল সকলে জানে। গালওয়ান সহ অন্য এলাকায় চীন তাদের সামরিক গতিবিধি বন্ধ করেনি। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের আলোচনার কী অর্থ?’