• ‘ভোট চুরি নিয়ে এবার হাইড্রোজেন বোমা, প্রধানমন্ত্রী আর মুখ দেখাতেও পারবেন না’
    বর্তমান | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • পাটনা: রাহুল গান্ধীর ভোটার অধিকার যাত্রা শেষ হল বটে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে আরও বড় হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন রাহুল গান্ধী। সোমবার পাটনায় লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘হাইড্রোজেন বোমার জন্য তৈরি থাকুক বিজেপি। খুব শীঘ্র সারা দেশের সামনে ভোট চুরি নিয়ে আরও বিশদ তথ্য সামনে আনা হবে। সেই অকাট্য তথ্য সামনে এলে প্রধানমন্ত্রী মোদি আর মুখ দেখাতে পারবেন না। আমি আপনাদের সেই গ্যারান্টিই দিচ্ছি।’  বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন ঘিরে তোলপাড় চলছে।  এরইমধ্যে কর্ণাটকের একটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগ তোলেন রাহুল। সেই উদাহরণ দেখিয়ে কমিশনের মদতে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সোচ্চার তিনি।  এদিনও এই ইস্যুতে রাহুল চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছেন।  তিনি বলেন, ‘ভোট চুরির অর্থ মানুষের অধিকার হরণ। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা। এভাবে চলতে থাকলে ওরা একদিন রেশন কার্ড এবং অন্যান্য অধিকারও কেড়ে নেবে।’ 

    এদিন গান্ধী ময়দান থেকে আম্বেদকর মূর্তি পর্যন্ত পদযাত্রা করে রাহুলের ১৬ দিনের যাত্রা শেষ হয়। গান্ধী ময়দানে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মালা দেন ইন্ডিয়া জোটের নেতৃবর্গ। মাঝে ডাক বাংলো ক্রসিংয়ের কাছে সেই মিছিল আটকায় পুলিস। তবে রাহুলদের থামানো যায়নি। সেখান থেকেই রাহুলের হুংকার, ‘বিহারে বিরোধীদের নতুন সরকার ক্ষমতায় আসবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার আর ছ’মাসও টিকবে না।’ আর আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘নীতীশ দুর্নীতির ভীষ্ম পিতামহ হয়ে উঠেছেন। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর সরকারকে উৎখাত করবেন বিহারবাসী।’

    রাহুলের যাত্রা শেষের সভায় নজর কেড়েছে বিরোধী মঞ্চ ইন্ডিয়ার শরিকদের ঐক্যবদ্ধ চেহারা। রাহুল, তেজস্বী ছাড়াও এদিনের মঞ্চে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন, বিকাশশীল ইনসান পার্টির মুকেশ সাহানি, রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, এনসিপি (শারদ) নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে। ছিলেন তিন বাম দলের তিন সাধারণ সম্পাদক-সিপিআইয়ের ডি রাজা, সিপিএমের এম এ বেবি, সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান, শিবসেনা (উদ্ধব) নেতা সঞ্জয় রাউত প্রমুখ শরিক নেতাও এদিনের সমাবেশে যোগ দেন।  

    এদিন রাহুলের মন্তব্যের প্রবল সমালোচনা করেছে বিজেপি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন, উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া থেকে ২০ হাজার লোক আনা হয়েছে। এঁরাই রাহুলের সঙ্গে সর্বক্ষণ ছিলেন। দেশের ভোটারদের অপমান করে রাহুল নিজেকেই হীন প্রমাণ করেছেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)