সংবাদদাতা, ডোমকল: অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ হতেই শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে শোরগোল। তাতে দেখা যাচ্ছে, ‘দাগি’ হিসেবে নাম উঠেছে ডোমকল গার্লস কলেজের এক অধ্যাপকের। বিষয়টি সামনে আসতেই তোলপাড় গোটা ডোমকল। কলেজের ওয়েবসাইট থেকে নিজের ছবি সরিয়ে নিয়েছেন ওই অধ্যাপক। ওই অধ্যাপকের নাম কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস। বর্তমানে তিনি ডোমকল গার্লস কলেজের এডুকেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, কৃষ্ণেন্দুবাবু ২০১৯ সালে কলেজে যোগ দেন এবং পরে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পান। কিন্তু ‘দাগি’ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ পেতেই বিপাকে পড়েন তিনি। ৬৪৪ নম্বর সিরিয়ালে জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম ও রোল নম্বর। কৃষ্ণেন্দুবাবু অবশ্য ‘বিচারাধীন’ বিষয় বলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, এটাই প্রথম নয়। ২০২২ সালে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এসএসসি যে ৯৫২ জনের তালিকা প্রকাশ করেছিল, সেখানেও ২৪০ নম্বরে কৃষ্ণেন্দুবাবুর নাম ও রোল নম্বর ছিল। দুই তালিকাতেই তাঁর রোল নম্বর ও নাম হুবহু মিলে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, কলেজে অধ্যাপনার আগে তিনি হরিহরপাড়ার গোবিন্দপুর রাজনগর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। সেখানে তিনি ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন। ওই স্কুলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জমসের শেখ বলেন, ‘২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কৃষ্ণেন্দুবাবু স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর পদত্যাগ করে কলেজে চলে যান। ইংরেজি পড়াতেন। তবে ওয়েবসাইট থেকে ছবি সরানো নিয়ে ক্ষুব্ধ কলেজ কর্তৃপক্ষ। শীঘ্রই কৃষ্ণেন্দুবাবুকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ডোমকল গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ অলোক কুমার দাস বলেন, ‘আমিও শুনলাম বিষয়টি। আমার আগেই কৃষ্ণেন্দুবাবু কলেজে যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁকে এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের অনুমতি না নিয়ে এভাবে ছবি সরালে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ওই অধ্যাপককে মেসেজ করা হলে তিনি প্রত্যুত্তরে জানান, বিষয়টি বিচারাধীন। আইনের প্রতি তাঁর আস্থা রয়েছে।