• বনগাঁয় মারধর হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের, ধৃত তিন
    বর্তমান | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: হাসপাতালে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীদের মারধরের ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলো বনগাঁ থানার পুলিস। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ধৃতদের নাম ওয়াসিম রাজা, সুজন বারুই ও আরিফ খান। ওয়াসিম মুর্শিদাবাদের, আরিফ খান বাগুইআটি এবং সুজন বনগাঁ থানার রেলবাজার এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের সোমবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    পুলিস ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা রবিবার রাত দুটো নাগাদ বিনা অনুমতিতে হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলে তাঁদের সঙ্গে ওই যুবকদের বচসা হয়। এরপর যুবকরা নিরাপত্তারক্ষীদের উপর চড়াও হয়ে তাঁদের মারধর করেন। খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিস এসে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে। পরবর্তীতে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

    জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। একটি চার চাকার গাড়িতে করে এসেছিলেন তারা। ওই গাড়ির মধ্যে একাধিক মদের বোতল ছিল বলেও জানা গিয়েছে। তুষার ঘোষ নামে নিগৃহীত নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘ওঁরা একটি গাড়িতে দ্রুতগতিতে হাসপাতালে ঢোকেন। গভীর রাতে কোনও কারণ ছাড়াই হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢোকার চেষ্টাও করেন। আমরা বাধা দিলে আমাদের মারধরও করেন।’

    নিরাপত্তারক্ষীদের সুপার ভাইজার অমিয় কর্মকার বলেন, কয়েকজন যুবক হাসপাতালে ঢুকতে গেলে আমরা বাধা দিই। প্রথমে ওঁরা বলছিলেন ওঁদের রোগী ভর্তি আছেন। তবে তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এমনকী যে বেড নম্বরের রোগীর কথা বলছিলেন, সেখানে কোনও রোগী ছিলেন না। তবুও ঢুকতে না দেওয়ায় আমাদের কর্মীদের মারধর করেন।

    হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বড়াই বলেন, গভীর রাতে জোর করে হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন কয়েকজন যুবক। নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন। তখন যুবকরা তাঁদের মারধর করেছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।
  • Link to this news (বর্তমান)