লোন চলছে চারটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে, জানেন না ‘ঋণগ্রহীতা’! বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ
বর্তমান | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: একটি নয়, পরপর চারটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে পার্সোনাল লোন চলছে! অথচ, যাঁর নামে লোন, জানেনই না সেই ‘ঋণগ্রহীতা’! এমনই অবাক প্রতারণা কাণ্ডের শিকার হয়েছেন বাগুইআটি থানা এলাকার এক যুবক। ঘটনার তদন্ত চেয়ে তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রবিবার। অভিযোগ, কেউ বা কারা তাঁর সিবিল স্কোর এবং নথিপত্র ব্যবহার করে চারটি ব্যাঙ্ক থেকে পার্সোনাল লোন নিয়েছে। তাঁর অজান্তে সেই ঋণের কিস্তিও ঠিক করা হয়েছে। অবিলম্বে তিনি পুলিসি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কিছুদিন আগে একই নামের সুযোগ নিয়ে অন্যের প্যানকার্ড ও আধার কার্ডের ছবি পাল্টে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। নথি জালিয়াতি করে ওই প্রতারক একটি বেসরকারি ফিনান্স সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিল। যাঁর নামে ঋণ নেওয়া হয়েছিল এবং যাঁর আসল নথি ব্যবহার করা হয়েছিল তিনি কিছুই জানতেন না। গত মঙ্গলবার ওই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিস। ফের একই কায়দায় এই প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগুইআটি থানা এলাকার দশদ্রোণে থাকেন ওই যুবক। সম্প্রতি, তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মেসেজ পান। তারপরই জানতে পারেন, তাঁর নামে চারটি পৃথক ব্যাঙ্কে পার্সোনাল লোন চলছে। তার মধ্যে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে তাঁর নামে ১ লক্ষ ৬৯৮১ টাকার ব্যক্তিগত ঋণ নেওয়া হয়েছে। ৬ মাসে ১৮ হাজার ৭৭৮ টাকা করে ইএমআই নির্ধারিত হয়েছে। অপর একটি ব্যাঙ্কে তাঁর নাম করে ৫৫ হাজার ১০৮ টাকার পার্সোনাল লোন নেওয়া হয়েছে। সেখানে ১৯ হাজার ১৭৫ টাকা করে তিনমাসের ইএমআই করা হয়েছে! এছাড়াও আরও দু’টি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে যথাক্রমে ২৮ হাজার এবং ৭ হাজার টাকা লোন নেওয়া হয়েছে। ২৮ হাজারের ঋণের জন্য মাসিক ১,২৫৬ টাকা করে ইএমআই এবং ৭ হাজার টাকা ঋণের জন্য ৩১৪ টাকা করে ইএমআই করা হয়েছে! অথচ, যাঁর নথি দিয়ে লোন নেওয়া হয়েছে, তিনিই সম্পূর্ণ অন্ধকারে!
পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কোন অ্যাকাউন্টে টাকা ক্রেডিট হয়েছে, কীভাবে নথি পেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।