• অজ্ঞাতপরিচয় যুবককে মাথায় আঘাত করে খুন, হরিদেবপুরে রাস্তায় রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, রহস্য
    বর্তমান | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হরিদেবপুরের কবরডাঙা মোড়ে মাছের বিরাট আড়ত। প্রতিদিন ভোর থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে এই এলাকায়। সোমবার সকালে এক ব্যবসায়ী দেখেন, তাঁর দোকানের সামনেই পড়ে রয়েছেন এক যুবক। মাথার পিছনে গভীর ক্ষত। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা রাস্তা। সাতসকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হরিদেবপুর থানার পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, কেউ বা কারা ওই যুবককে মাথায় আঘাত করে খুন করেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য খোকন রংয়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে হরিদেবপুর থানা। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। লালবাজার জানিয়েছে, এদিন রাত পর্যন্ত যুবকের নাম, পরিচয় জানতে পারেননি তদন্তকারীরা। মৃতের বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। খোঁজ নিয়ে পুলিস জেনেছে, মৃত ব্যক্তি এলাকায় কাগজকুড়ানি বলে পরিচিত। কিন্তু, কেউই তাঁর নাম বলতে পারেননি।

    এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ হরিদেবপুর থানায় খবর আসে, কবরডাঙা মোড়ে এক যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। দেহটি উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই এলাকায় যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা-৮টা থেকেই তাঁকে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা অনুমান করেন, মদ্যপ অবস্থায় সেখানে পড়ে রয়েছেন যুবক। এলাকাটি অন্ধকার হওয়ায় যুবকের মাথায় আঘাত কিংবা রক্তের দাগ দেখতে পাননি পথচলতি মানুষ। এদিন সকালে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হয় ব্যবসায়ীদের। এরপরেই পুলিসে খবর দেন তাঁরা। লালবাজার জানিয়েছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে কাগজ কুড়ান ওই যুবক। ঘটনাস্থলের পাশ থেকে যুবকের একটি ভ্যান মিলেছে। সেখান পুরনো কাগজপত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়। সবটাই বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। 

    পুলিস সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যেই খুন হয়েছেন ওই যুবক। ওই সময়ের মধ্যে আশপাশের দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। টাকাপয়সা জনিত ঝামেলার জেরে খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত চলছে। যুবকের পরিচয় জানতে, আশপাশের থানা ও রাজ্য পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে লালবাজার। 
  • Link to this news (বর্তমান)