নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: সল্টলেকে অধ্যাপকের বাড়ির দরজা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটল। দুষ্কৃতীরা সোনার গয়না, নগদ টাকা, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট সহ লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে। রবিবার ভোররাতের ওই ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিস। বি এল ব্লকে যেখানে চুরি হয়েছে, সেখানে অতীতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাড়ির সামনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ না পেলেও আশপাশের ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ২টো থেকে ভোর ৫টার মধ্যে এই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। ওই অধ্যাপক পুলিসকে জানিয়েছে, তিনি দোতলায় শুয়েছিলেন। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে দেখেন, নীচের তলায় বাড়ির পিছনের দিকের দরজা ভাঙা! একটি ঘর এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে! তারপর ওই ঘরে ঢুকে দেখেন, দু’টি আলমারি তছনচ করা হয়েছে।
অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা বাড়ি থেকে একজোড়া সোনার বালা, একজোড়া সোনার কানের দুল, নগদ ২০ হাজার টাকা, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, চার্জার, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, একটি ব্যাকপ্যাক এবং একটি হাতঘড়ি চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। রবিবার ওই অধ্যাপক বিধাননগর পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। চুরি যাওয়া এইসব জিনিসপত্রের তালিকা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২১ আগস্ট সকালে সল্টলেকের বি জি ব্লকে এক মহিলা প্রাতর্ভ্রমণকারীর সোনার হার ছিনতাই হয়েছিল। তবে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিস। কিছুদিন আগে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিস বাগুইআটি থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। কিছুদিন আগে লেকটাউনের হনুমান মন্দিরে দুঃসাহিক চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে চুরির মালপত্র উদ্ধার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বেশকিছু তথ্য মিলেছে। বিভিন্ন সূত্র ধরে দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।