সাংগঠনিক বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সামনেই এলাকায় দলের পদাধিকারী বাছাই নিয়ে বিবাদে জড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও শিউলি সাহা। এমনকি, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা আসনগুলির সাংগঠনিক পর্যালোচনা বৈঠকে সোমবার সেচমন্ত্রী মানসের সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলির ওই বিবাদ থামাতে হয়েছে দলীয় নেতৃত্বকে। পরে ঠিক হয়েছে, বিধায়কদের পরামর্শ বিবেচনা করেই সংশ্লিষ্ট এলাকার পদাধিকারী বাছাই করা হবে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাটাল সংসদীয় এলাকায় বিধানসভাকেন্দ্রিক দলের প্রস্তুতিই ছিল এ দিনের আলোচনার বিষয়। জেলার নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের এলাকার কমিটি নিয়ে নানা মত দেওয়ার সময়েই অন্য বিধানসভা নিয়ে মানস মতামত দিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি। তাতে অনেকে আপত্তি তোলেন। এই সূত্রেই মানসের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় কেশপুরের বিধায়ক শিউলির। সূত্রের খবর, বৈঠকে নেতৃত্বের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছেন ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবীরও। নিজের আসনে বিভিন্ন দলীয় পদ নিয়ে তাঁর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে জানিয়েছেন, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে দল প্রয়োজন মতো নির্বাচনী সংগঠন সাজাবে। সূত্রের খবর, বৈঠকে দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার ব্লক ও শহর সভাপতিদের নাম কার্যত চূড়ান্ত হয়েছে। তিনটি ব্লকে নতুন সভাপতি আসতে পারে।
আরামবাগ সংসদীয় এলাকার সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে সেখানকার বিধানসভা আসনের সিংহভাগ হাতছাড়া থাকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, দলীয় নেতৃত্ব জেলার সাংগঠনিক পদাধিকারী ও জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটে মানুষ তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন। তাই আগামী বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে এখন থেকেই জনসংযোগে নেমে পড়তে বলা হয়েছে দুই লোকসভা আসনের নেতাদের।