• গুলি ছুড়ে, পুলিশকর্মীকে পিষে জেল থেকে চম্পট দিল ধর্ষণে অভিযুক্ত আপ বিধায়ক!
    এই সময় | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বলিউডের সিনেমার টানটান উত্তেজনার স্ক্রিপ্টকেও হার মানাবে আম আদমি পার্টির বিধায়কের এই কাণ্ড। ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে পাঞ্জাবের আপ বিধায়ক হরমিত সিং পাঠানমাজরাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কিন্তু পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়েছেন তিনি। অফিসারদের উপর গুলি চালিয়ে এবং এক পুলিশকর্মীকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মেরে হরমিত পালিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

    সূত্রের খবর, পাতিয়ালার সানৌরের আপ বিধায়ক হরমিত পাঠানমাজরাকে মঙ্গলবার সকালে কর্নাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারির পর তাঁকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার সময়েই ঘটে এই কাণ্ড। আচমকাই পাঠানমাজরা এবং তাঁর সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশ কর্মীরা পিছু হটলে হরমিত তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে স্করপিও এবং ফরচুনার গাড়িতে চেপে পালিয়ে যান। পরে যদিও ফরচুনারটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তবে এখনও খোঁজ মেলেনি পলাতক হরমিত সিং পাঠানমাজরার।

    সানৌরের আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। জিরাকপুরের বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ করেছেন, হরমিত সিং পাঠানমাজরা মিথ্যে কথা বলে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। বিধায়কের যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি তা তিনি ওই মহিলাকে জানাননি বলে দাবি। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন অত্যাচার, হুমকি ও অশালীন মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।

    এফআইআর অনুসারে, ৪৫ বছর বয়সি ওই মহিলা একজন ডিভোর্সি। তাঁর একটি মেয়ে আছে, তিনি বিদেশে থাকেন। ২০১৩ সালে পাঠানমাজরা তাঁকে জানিয়েছিলেন, তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। ২০২১ সালে, দু’জনে লুধিয়ানার একটি গুরুদ্বারে বিয়ে করেন বলেও জানিয়েছেন ওই মহিলা। ২০২২ সালে পাঠানমাজরা সানৌর থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন। তখন ওই মহিলা দেখতে পান, হরমিত তাঁর হলফনামায় তাঁর প্রথম স্ত্রীর নাম উল্লেখ করেছেন। তখন হরমিত দাবি করেছিলেন, তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেবেন। কিন্তু তা হয়নি।

    তবে বিধায়ক হরমিত সিং পাঠানমাজরা দাবি করেছেন যে মামলাটি পুরোটাই রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এফআইআর দায়ের হওয়ার পর তিনি ফেসবুকে লাইভে এসে আপের দিল্লি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাঁর আইনজীবী সিমরনজিৎ সিং সাগ্গুও যুক্তি দেন, অভিযোগকারী আদালতে লিভ-ইন সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন এবং অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন বলেছেন।

  • Link to this news (এই সময়)