কলার ভিতরে ঢুকিয়ে পাচার দিনের পর দিন! সিধেসাধা ফল বিক্রেতার কাণ্ডে হতবাক পুলিশ
আজকাল | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে ফল বিক্রি করতেন। মূলত কলা বিক্রি করতেন। কিন্তু ফল বিক্রির আড়ালে তিনি যে চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক অন্য কাজ, তা ঘূণাক্ষরেও টেন পাননি কেউ। যখন তথ্য সামনে এল, তখন চক্ষু চড়কগাছ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই ফল বিক্রেতাকে। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে মুম্বই পুলিশ ৩৫ লক্ষ টাকার মাদক পাচারের অভিযোগে ৬০ বছর বয়সী কলা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গিয়েছে, ওই ফল বিক্রেতার নাম মহম্মদ আলী। বান্দ্রা রেল স্টেশনের কাছে তিনি কলা বিক্রি করতেন। আপাত দৃষ্টিতে তেমনটাই মনে করতেন সকলে। কিন্তু আলী কলা বিক্রির আড়ালে ফেঁদেছিলেন অন্য ব্যবসা। অভিযোগ, কলা বিক্রির আড়ালে এমডি ড্রাগ বিক্রি করতেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ আলী আব্দুল গাফফর শেখ নামে অভিযুক্তকে ১৫৩ গ্রাম এমডি ড্রাগ-সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া মাদকের আনুমানিক মূল্য ৩৫.৩০ লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে প্রাথমিকভাবে।
পুলিশ জানিয়েছে, দিনের পর দিন লোকচক্ষুর সামনে তিনি কলা বিক্রি করতেন ঠিকই, কিন্তু আড়ালে চালাতেন অন্য কাজ। গোপন সূত্রে সেই তথ্য পৌঁছয় পুলিশের কাছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইউনিট ৯ জানতে পেরে অভিযান শুরু করে। এবং তথ্য উঠে আসে চাঞ্চল্যকর। জানা যায় ওই ব্যক্তি, সে আদতে ফল বিক্রেতা সেজে গোপনে এমডি ড্রাগ বিক্রি করছিলেন।
জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে, বান্দ্রা বাস ডিপোর কাছে মহারাষ্ট্রনগর রোড ধরে যাওয়ার সময় সিভিল পোশাক পরা অফিসাররা মহম্মদ আলীকে আটক করেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ওই ব্যক্তির গাড়ি পরীক্ষা করার সময় একটি ধাতব বাক্স খুঁজে পায় যার মধ্যে ১৫৩ গ্রাম এমডি ড্রাগস ভর্তি একটি ব্যাগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তথ্য, এনডিপিএস আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। ফল বিক্রেতাকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মহম্মদ আলী স্বীকার করেছেন যে আর্থিক সমস্যার কারণে তিনি মাদক ব্যবসায় ঝুঁকেছিলেন।
তিনি স্বীকার করেছেন যে জীবিকা নির্বাহের জন্য বান্দ্রায় কলা বিক্রি করলেও, ফল বিক্রি থেকে যে পরিমাণ টাকা পেতেন তিনি, তাতে তাঁর সংসার চলত না কোনওভাবেই। তাঁকে জীবন চালাতে বিকল্প জীবীকা খুঁজতেই হত। তখনই তিনি অধিক আয়ের উৎস হিসেবে মাদক পাচারকে বেছে নেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা এখন মাদকের উৎস, ফল বিক্রির পেশায় তিনি কতদিন যুক্ত, কতদিন মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত, এই কাজে তাঁর কোনও সহযোগী ছিল কিনা এবং তার পূর্বে কোনও অপরাধমূলক রেকর্ড আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে। ঘটনায় পুলিশ আরও তদন্ত চালাচ্ছে।