• বোনের সঙ্গে প্রেম মেনে নিতে নারাজ ভাই, একাধিকবার বারণ করা সত্ত্বেও না শোনায় যুবকের সঙ্গে যা করল, জানলে শিউরে উঠবেন...
    আজকাল | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  •  

    আজকাল ওয়েবডেস্ক: কানপুরে এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। ২২ বছর বয়সী ঋষিকেশ নামের এক যুবকের নির্মম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে কানপুর পুলিশ। রবিবার গঙ্গার তীরে মহারাজপুর এলাকায় এক মানুষের নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরবর্তীতে সোমবার পুলিশ জানায়, এটি ঋষিকেশের মৃত দেহ। চাকেড়ি থানার পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে মূল অভিযুক্তসহ আরও চারজন এখনও পলাতক বলে খবর মিলেছে।

    ঘটনার জেরে ডিসিপি (পূর্ব) সত্যজিৎ গুপ্ত জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ড একটি ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে ঘটেছে। খবর অনুযায়ী, ঋষিকেশ মূল অভিযুক্ত পবন নিশাদের বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই সম্পর্ক নিয়ে পবন আগে থেকেই ঋষিকেশকে সতর্ক করেছিলেন এবং বলেছিলেন এই সম্পর্ক রাখা যাবেনা। ক্রমাগত সম্পর্ক বিচ্ছেদ করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু ঋষিকেশ সেই হুমকি উপেক্ষা করে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন। পুলিশ মনে করছে, মূলত এই কারণেই রাগের বশে তাঁকে খুন করা হয়।

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্তরা একটি পূর্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে ঋষিকেশকে প্রথমে কাকোরি অরণ্যে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ব্যাগে ভরে একটি ই-রিকশায় করে নিয়ে গিয়ে গঙ্গায় ফেলে দেয় অভিযুক্তরা। রবিবার মহারাজপুর এলাকায় নদীর প্রায় ২২ কিলোমিটার নিচে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ অনুমান করছে, দেহের অন্যান্য অংশও গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।

    ঘটনার জেরে, ঋষিকেশের ভাই রবি কুমার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত করা হয় পবন নিশাদ, তার ভাই ববি নিশাদ এবং তাদের সহযোগী নাগা নিশাদ ওরফে প্রেম, অরুণ নিশাদ, নিখিল, সত্যম এবং আরও দুইজনকে। এখনও পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হল মোগলি ওরফে প্রিন্স, নিখিল, আকাশ ওরফে আলু, এবং ঋষু ভার্মা। মূল অভিযুক্ত পবন, তার ভাই ববি, সত্যম এবং ড্যানি এখনও পলাতক, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।

    এছাড়াও পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পাশাপাশি কীভাবে কাকোরিতে ঋষিকেশকে হত্যা করে তাঁর দেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়, তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। বর্তমানে মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে৷ 

    প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে প্রেমের সম্পর্কের আরও এক ভয়ঙ্কর পরিণাম দেখা গিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের কনৌজ জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, সুলতানপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ভোর চারটে নাগাদ বাড়ির ছাদের ঘরে শুয়েছিলেন এক তরুণী। চুপিচুপি পাশের বাড়ির ছাদ টপকে সেই ছাদেই উঠে আসেন ২৩ বছরের তরুণ। প্রেমিকাকে পরপর গুলি করে, নিজেও গুলি করে আত্মহত্যা করেন।  পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণের নাম, দেবাংশ যাদব। বাবার বন্দুক দিয়ে প্রেমিকাকে খুন করে, আত্মহত্যা করেন তরুণ। ছাদের ঘরে বোনের সঙ্গে শুয়েছিলেন ২১ বছরের তরুণী। বোনের সামনেই দিদিকে খুন করে পালিয়ে যান তরুণ। বাড়ির অদূরে একটি পুকুর পাড়ে গিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন।  তদন্তে জানা গেছে, দেবাংশের বাবা প্রাক্তন সেনা আধিকারিক। দ্বাদশ শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করেননি তিনি। বাবার সঙ্গে টুকটাক কাজ করেন। এদিকে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা স্নাতকের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। তাঁদের প্রেমের সম্পর্কটি সম্প্রতি পরিবারে জানাজানি হয়েছে। তারপরেই শুরু হয় অশান্তি।  তরুণীর পরিবার তাঁর অন্যত্র বিয়ের জন্য দেখাশোনা শুরু করে। অবশেষে পাশের একটি গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। বাগদানের খবর পেয়ে প্রেমিকার হবু বরের কাছেও যান তরুণ। তাঁকে বিয়ে না করার জন্য জোরাজুরি করেন। এরপর আবারও দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা হয়। দেবাংশ সেদিন জানিয়েছেন, তরুণীর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ রাখবেন না। অথচ সেদিনই ভোরবেলায় তাঁকে গুলি করেন।
  • Link to this news (আজকাল)