• পুজোর আগে দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিসের কড়া পদক্ষেপ, আটক ৩০টি টোটো
    বর্তমান | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: পুজোর আগেই কড়া পদক্ষেপ নিল পুলিস। একাধিক টোটো আটক করে নিয়ে আসা হল থানায়। এরপর টোটোগুলির ডানপাশে রড লাগানোর পর সেগুলিকে ছাড়ল ময়নাগুড়ি থানার ট্রাফিক পুলিস। আজ, মঙ্গলবার ময়নাগুড়ির শহরে অভিযান চালায় ময়নাগুড়ির ট্রাফিক পুলিস। অভিযানে আটক করা হয় প্রায় ৩০টি টোটো। সেগুলিকে নিয়ে আসা হয় থানায়। এরপর টোটো চালকদের বলা হয় রড নিয়ে আসতে। সঙ্গে সঙ্গে টোটো চালকরা খবর দেন রড ঝালাই করা মিস্ত্রিদের। এরপর ওই টোটোগুলির ডানদিকে ঝালাই করা হয় লোহার রড। তারপর ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে সেই টোটোগুলিকে থানা থেকে ছাড়া হয়। সামনে পুজো। এই সময় বাজার এলাকায় ব্যাপক ভিড় হয়। ফলে বাজার এলাকায় যেন কোনওরকম দুর্ঘটনা না ঘটে সেই কারণে সতর্ক প্রশাসন। বেশ কয়েক মাস আগেই প্রশাসন জানিয়েছিল টোটোর ডান পাশে রড লাগাতে হবে। টোটো থেকে কেউ যেন কোনওভাবে পড়ে না যায় মূলত তার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু দেখা যায় প্রশাসনের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একাধিক টোটো চালক প্রচুর যাত্রী নিয়ে বাজার এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। তাতে বৃদ্ধ, এমনকী ছোট বাচ্চারাও ছিল। এমনকী স্কুলের পড়ুয়ারাও ছিল সেই টোটোতে। পুলিস কর্মীরা লক্ষ্য করেন, বহু টোটোতে রড লাগানোই হয়নি। অনেক কয়েকজন টোটো চালক আবার প্রশাসনের ভয়ে একপাশে শুধুমাত্র ছোট বাঁশ লাগিয়ে রেখেছে! অনেকে আবার দড়ি লাগিয়েছে!আজ ময়নাগুড়ি থানার ট্রাফিক ওসি অতুল চন্দ্র-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা থানা মোড় ও শহরের মূল ট্রাফিক পয়েন্টের সামনে অভিযান চালান। এই অভিযানে একের পর এক টোটো আটক করে নিয়ে আসা হয় থানায়। তারপর রড লাগানোর পর সেগুলিতে ছাড়া হয়। এই ঘটনায় পেশায় টোটো চালক শাহানুর ইসলাম এবং রঞ্জত মণ্ডল বলেন, রড লাগানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমরা রড লাগিয়ে নিচ্ছি। অন্যান্য টোটো চালকদেরও বলব অবিলম্বে টোটোতে রড লাগিয়ে নিতে। অন্যদিকে, ট্রাফিক ওসি অতুল দাস বলেন, রড লাগাতেই হবে টোটোতে। আমাদের বাজার এলাকায় নজরদারি চলবে। নিয়ম না মানলেই আটক করা হবে টোটো।
  • Link to this news (বর্তমান)