নারায়ণ সিংহ রায়: নজরে আসতেই স্কুল-সহ এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। জানা গিয়েছে, স্কুলের ভেতরে রয়েছে সবুজ সাথীর সাইকেল রাখা গুদাম। সেই গুদামের ভেতর মৃতদেহ নিয়ে উত্তেজনা স্কুল চত্বরে। ঘটনাস্থলে নকশালবাড়ি থানার পুলিস। যদিও স্কুল স্বাভাবিকভাবেই চললেও স্কুলে এই ঘটনার পর কেন ছুটি দেওয়া হচ্ছে না প্রশ্ন করেছেন অভিভাবকরা।
তবে বিদ্যালয়ের গুদাম ঘরে এই মৃতদেহ কোথা থেকে আসল, বা মৃত ব্যক্তিকে তার কোনরূপ তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যাকে কেন্দ্র করে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বিকেলের পর স্কুলের গেট বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে প্রশ্ন উঠছে সবুজ সাথীর গুদাম ঘরে যে মৃতদেহ মিলছে তা কি স্বাভাবিক?
পাশাপাশি এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি থেকে তিন সদস্যের ফরেন্সিক দলের সদস্যকে আনা হলে তারা গোটা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করেন। সূত্রের খবর গত শনিবার ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। এর পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে ফ্যান চুরি করতেই ভেতরে ঢুকেছিল ওই ব্যক্তি। এবং বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
পুলিস সূত্রে খবর, কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তা এখনই স্পষ্ট নয়। যদিও ময়নাতদন্তের জন্য দেহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলেই প্রকাশ্যে আসবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় কিছুই জানা যায়নি। নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস। স্থানীয় সূত্রের খবর, এইরকম ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি এই প্রথম এলাকায়। পুলিস প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে দেখা হোক কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল কেনই বা ওই জায়গায় মৃতদেহ উদ্ধার হল।