সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার অতিভারী বৃষ্টির জেরে বন্যার কবলে পাঞ্জাব। জলের নিচে চলে গিয়েছে পাঞ্জাবের বিস্তীর্ণ এলাকা। রিপোর্ট বলছে, বিগত ৩৭ বছরের মধ্যে এতটা গুরুতর পরিস্থিতি কখনও তৈরি হয়নি। বেহাল পাঞ্জাবকে সামাল দিতে অ্যালার্ট মোডে কেন্দ্র। চিন সফর সেরে সোমবার দিল্লি ফিরেই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে ফোন করে গোটা পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজধানী দিল্লি ও হরিয়ানাতেও।
সূত্রের খবর, দিল্লি ফিরেই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। অতিবৃষ্টি ও বন্যার জেরে পাঞ্জাবের বেহাল অবস্থার বিস্তারিত তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের তরফে সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হবে তাঁকে জানিয়েছেন মোদি। রিপোর্ট বলছে, পাঞ্জাবের ভয়াবহ বন্যায় এক হাজারের বেশি গ্রাম জলের নিচে চলে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন লক্ষাধিক মানুষ। নষ্ট হয়ে গিয়েছে হাজার হাজার একর জমির ফসল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রকে চিঠি লিখে ৬০ হাজার কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন মান। পর্যাপ্ত সংখ্যক এনডিআরএফ বাহিনী এবং সেনা শিবির মোতায়েন করে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে কোনও খামতি রাখা হবে না বলে মানকে আশ্বস্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বন্যায় বেহাল অবস্থা হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ডের। সূত্রের খবর, দেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে লাগাতার ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দিল্লি ও হরিয়ানায়। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনার জল। মঙ্গলবার সকালে যমুনার জল ২০৫.৩৩ মিটারে পৌঁছয়। যার জেরে দিল্লির নিম্নাঞ্চল, বিশেষ করে নদী তীরবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি হয়েছে। একই অবস্থা হরিয়ানার। গুরুগ্রাম থেকে যমুনানগর পর্যন্ত সমগ্র রাজ্যে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। যমুনার জলস্তর বৃদ্ধির ফলে জারি হয়েছে সতর্কতা। সোমবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে, গুরুগ্রামে ১০০ মিমি-র বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বরও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে। এই অবস্থায় স্কুল, কলেজ ও সরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর।
লাগাতার বৃষ্টিতে বেহাল অবস্থা হিমাচল প্রদেশের। হড়পাবান ও ভূমিধসে সেখানে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে হিমাচলকে ‘বিপর্যস্ত রাজ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। বর্ষার মরশুম শুরুর পর অর্থাৎ ২০ জুন থেকে এখনও পর্যন্ত হিমাচলে ৩২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।