‘যিনি যত বোকা বানাতে পারেন, তিনি তত বড় নেতা’, গড়করির মন্তব্যে চর্চা
প্রতিদিন | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর স্পষ্টভাষণের জন্য ফের শিরোনামে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি। সোমবার নাগপুরে অখিল ভারতীয় মহানুভব পরিষদের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, মানুষের জীবনে সততা, নিষ্ঠা ও মূল্যবোধই হওয়া উচিত পথপ্রদর্শক, কোনওভাবেই শর্টকাটে সাফল্য খোঁজা উচিত নয়। তাঁর কথায়, শর্টকাট হয়তো অল্প সময়ে কিছু ফল দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে তা বিশ্বাসযোগ্যতা ও সুনাম নষ্ট করে দেয়। উদাহরণ টেনে গড়করি বলেন, রাস্তা পার হতে গিয়ে কেউ যদি ট্রাফিক সিগন্যাল না মেনে লালবাতি অমান্য করে, তবে সে হয়তো তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছে যাবে, কিন্তু এর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে বড় বিপদ। তাই সত্য, সততা, নিষ্ঠা ও বিশ্বাসযোগ্যতাই মানুষকে স্থায়ী সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়। তিনি শ্রীকৃষ্ণের গীতার বাণী উল্লেখ করে বলেন, “শেষে সত্যই জয়ী হয়।”
তবে এর মাঝেই গড়করি রসিকতার সুরে রাজনীতির বাস্তবতা তুলে ধরে বলেন, “আমি যে ক্ষেত্রে কাজ করি সেখানে মন থেকে সত্য বলা নিষিদ্ধ। যে মানুষ সব চেয়ে ভালোভাবে অন্যদের বোকা বানাতে পারেন, তিনি-ই হতে পারেন সেরা নেতা।” এর পরেই তাঁর এই মন্তব্য রাজনৈতিক বিতর্ক উসকে দিয়েছে। মন্ত্রী, প্রবীণ বিজেপি নেতা আরও বলেন, মহানুভব সম্প্রদায়ের প্রবর্তক চক্রধর স্বামীর শিক্ষা আজও প্রাসঙ্গিক। তাঁর দেওয়া সত্য, অহিংসা, শান্তি, মানবতা ও সমতা – এই মূল্যবোধই মানবজীবনের ভিত্তি হওয়া উচিত। গড়করি জানান, সমাজে ইতিবাচক মনোভাব ছড়িয়ে দেওয়া এবং কাউকে আঘাত না করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
গড়করি প্রায়শই নিজের অকপট মন্তব্যে বিতর্কের জন্ম দেন। এর আগেও তিনি সরকারি কাজকর্মে শৃঙ্খলা আনার জন্য আদালতে সরকারবিরোধী মামলা দায়ের করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। তাঁর মতে, রাজনীতিকরা অনেক সময় জনপ্রিয় রাজনীতির চাপে প্রশাসনিক কাজ করেন না, অথচ আদালতের নির্দেশ কার্যকরভাবে শাসনকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে। গত বছর তিনি সুযোগসন্ধানী রাজনীতির সমালোচনা করে বলেন, ক্ষমতায় যে-ই থাকুক, অনেক নেতা কেবল টিকে থাকার জন্য মতাদর্শ বিসর্জন দেন, যা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।