সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিন পেলেন শিল্পী হেমন্ত মালব্য। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আরএসএস কর্মীদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কার্টুন শেয়ার করার। তবে হেমন্ত তাঁর ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ক্ষমা চেয়েছেন একথা উল্লেখ করে, বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এন ভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চ পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা না করলে ওই কার্টুনিস্টের জামিন বাতিলের আবেদন করার স্বাধীনতা দিয়েছে।
এদিন শুনানির সময় হেমন্তর আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার আদালতকে জানিয়েছেন তাঁর মক্কেল ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন। এবং তাঁকে সমন পাঠানোও হয়নি। এৎ জবাবে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কে এম নটরাজ বলেন, সমস্ত প্রমাণ একত্রিত করার পরই সমন পাঠানো হবে।
হেমন্ত মালব্য নামের ওই কার্টুনিস্ট সোশাল মিডিয়ায় নিয়মিত একের পর এক কার্টুন শেয়ার করেন। অধিকাংশই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর বিভিন্ন নীতিকে নিশানা করে। সদ্য ভারত-পাক যুদ্ধের আবহেও একাধিক বিতর্কিত কার্টুন পোস্ট করেছেন তিনি। যার সারমর্ম, ট্রাম্প এবং পাকিস্তানকে ভয় পাচ্ছেন মোদি। ট্রাম্পের চাপেই যুদ্ধবিরতি করেছে ভারত। তারও আগে করোনা অতিমারির সময়েও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে আপত্তিকর কার্টুন শেয়ার করেন তিনি। ঘটনাচক্রে ওই পোস্টগুলির জেরে ওই কার্টুনিস্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আরএসএসের এক কর্মী তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। গত মে মাসে হেমন্ত মালব্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ইন্দোরের পুলিশ। রীতিমতো বিপাকে পড়ে গত ৩ জুলাই মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন ওই কার্টুনিস্ট। যদিও সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এরপর সুপ্রিম কোর্টে যান তিনি।
শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতির সুধাংশু ধুলিয়া ও অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, “বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অপব্যবহার করে চলেছেন বেশ কয়েকজন কার্টুনিস্ট ও স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান।” আদালতের কড়া সুরে জানায়, মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে এই ধরনের বয়ান ও ছবিকে কোনওভাবেই মান্যতা দেওয়া যায় না। তবে এরপর ১৫ জুলাই শীর্ষ আদালত তাঁকে গ্রেপ্তারি থেকে রক্ষাকবচ দেয়। অবশেষে মঙ্গলবারের নির্দেশে তা ‘সম্পূর্ণ’ হল।