ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাঙালি ‘হেনস্তা’ থেকে মেয়ো রোডে সেনার সাহায্যে তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ ভাঙা। মঙ্গলবার বিধানসভার আলোচনা প্রথম প্রসঙ্গে থেকে পুরোপুরি ঘুরে গেল দ্বিতীয়র দিকে। আর তাতেই তুমুল অশান্তি। ফের সাসপেন্ড করা হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। মার্শাল ডাকা হয় তাঁকে বের করে দেওয়ার জন্য। এরপরই ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার গেটে রীতিমতো ফুঁসে উঠলেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, সেনার নামে জয়ধ্বনি দেওয়ায় তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে অনৈতিকভাবে।
পূর্বঘোষণা মতো বিধানসভায় মঙ্গলবার পেশ হল বাংলা ও বাঙালি ‘হেনস্তা’ বিরোধী প্রস্তাব। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই প্রস্তাব পেশ করতে গিয়ে তুলে ধরেন দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের শিশুর উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ। তাঁর কথায় বিজেপি বিধায়করা ‘আহা রে’ বলে কটাক্ষ শুরু করেন। এরপর ওঠে মেয়ো রোডের তৃণমূলের মঞ্চ ভাঙা প্রসঙ্গ। বিধায়ক তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “গতকাল সেনা যখন তৃণমূলের মঞ্চ ভেঙে দিল, ১৯৭১ -এর পাকিস্তানি সেনার কথা মনে পড়ছিল। যেভাবে তারা বাংলাদেশে ঢুকে গুলি চালিয়েছিল।” এতেই ক্ষেপে যায় শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়করা।
জানা যায়, বিজেপি বিধায়করা চিৎকার চেঁচামেচি, হট্টগোল জুড়ে দেন। পরিস্থিতি সামলাতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় উঠে দাঁড়ান। বারবার সতর্ক করেন। তাতেও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বের করে দেওয়ার জন্য মার্শাল ডাকা হয়। এরপরই ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার গেটে দাঁড়িয়ে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “অরূপ বিশ্বাসের কথায় অফিসিয়াল প্রস্তাব না এনে বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করেছেন। এটা অন্যায়।” শুভেন্দুর দাবি, ব্রাত্য বসু ভারতীয় সেনাকে অপমান করেছেন।
এদিকে এদিন বাংলা ও বাঙালি ‘হেনস্তা’ বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার মাঝে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের নাম পশ্চিমবাংলা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ বলেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী। তাতে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে অসীম সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।