ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙার কারণে সেনার ট্রাক আটকানো হয়েছিল, এখানে আর্মি বনাম পুলিশের কোনও বিষয়ই নেই— মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানালেন কলকাতার ডিসি ট্র্যাফিক ওয়াই শ্রীকান্ত। তিনি জানান, ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙলে যে ভাবে অন্যান্য গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এ ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। আইনি পদক্ষেপ করছে হেয়ার স্ট্রিট থানা।
এ দিন সকালে মহাকরণের সামনে আর্মির একটি গাড়িকে আটকানো হয়। বলা হয়, ট্র্যাফিক আইন না মেনে গাড়িটি এগিয়ে যাচ্ছিল। সেই গাড়ির পিছনে ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনারের গাড়ি। বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পায় গাড়িটি।
এর পরেই ট্র্যাফিক পুলিশ সেই ট্রাক আটকায়, খবর পেয়ে আসে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশও। ফোর্ট উইলিয়াম থেকে সেনার ট্রাকটি পাসপোর্ট অফিসের দিকে যাচ্ছিল বলে জানান সেই গাড়িতে সওয়ার এক জওয়ান। তবে ডিসি ট্র্যাফিক জানান, পাসপোর্ট অফিসের দিকে যাওয়ার হলে এই রাস্তা নয়, রাইটার্সের পিছনের রাস্তা ব্যবহার করা উচিত। যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেই জায়গা থেকে গাড়ির রাইট টার্ন নেওয়ার অনুমতি নেই। কিন্তু সেনার ট্রাকটি ডান দিকে টার্ন নেয়। এটা লেন ভায়োলেশন, বিপজ্জনক ড্রাইভিংয়ের ঘটনা।
তিনি আরও জানান, সাধারণ গাড়ির থেকে আর্মির গাড়ির নম্বর আলাদা থাকে, সেই জন্য চালকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। হেয়ার স্ট্রিট থানার তরফে ফোর্ট উইলিয়াম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ ভেঙে দেয় সেনা। এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তোপ দাগেন তিনি। অন্যদিকে সেনার তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়, দু’দিনের অনুমতি থাকলেও এক মাস ধরে মঞ্চ খোলা হয়নি। পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছিল তারা। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়েই তা খুলে দেওয়া হয়। তবে এ নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি।
এই আবহে আজ কলকাতা পুলিশ সেনার গাড়ি আটকানোয় রাজনীতির রং লাগে। বিরোধীরা শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগে। যদিও ডিসি ট্র্যাফিক জানান, দু’টো ঘটনা আলাদা। মঙ্গলবারের ঘটনা ট্র্যাফিক ভায়োলেশন। এতে রাজনীতির রং দেওয়া ঠিক নয়। পুরোপুরি ট্র্যাফিকের বিষয় এটা। কেউ নিয়ম ভাঙলে ব্যবস্থা নিতেই হবে। কলকাতা পুলিশের কাছে নিরাপত্তাই শেষ কথা।