আজকাল ওয়েবডেস্ক: চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা ভোট। কমিশন জানিয়েছে, এসআইআর-এর পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বের হলেই বিহারের ভোটাররা নয়া প্রযুক্তিনির্ভর ভোটার পরিচয়পত্র হাতে পাবেন।
কী এই নতুন ভোটার কার্ড?
- প্রচলিত এপিক-এর আপডেটেড সংস্করণই হল এই কার্ড। এতে যুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
- ভোটাররা যাঁরা এসআইআর প্রক্রিয়ায় ছবি আপডেট করেছেন, নতুন কার্ডে তা প্রতিফলিত হবে।
- থাকছে কিউআর কোড, যার ফলে জালিয়াতি বা নকল কার্ড তৈরি কার্যত অসম্ভব।
- কার্ড মিলবে দু'ভাবে- শারীরিক (ফিজিক্যাল) ও ডিজিটাল।
ডিজিটাল কার্ড বা ই-এপিক কী?
- ডিজিটাল সংস্করণের নাম e-EPIC।
- এটি একটি নিরাপদ, অ-সম্পাদনযোগ্য পিডিএফ ফাইল, যাতে থাকবে ভোটারের যাবতীয় তথ্য।
- কিউআর কোডের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন সম্ভব হবে।
- ভোটাররা চাইলে এটি মোবাইল বা কম্পিউটারে ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন।
- ফিজিক্যাল কার্ডের পাশাপাশি এটি সমানভাবে বৈধ। ফলে কেউ যদি আসল কার্ড সঙ্গে আনতে ভুলেও যান, ডিজিটাল সংস্করণ দিয়েই ভোট দেওয়া যাবে।
কেন এখনই নতুন কার্ড?
আসন্ন অক্টোবর-নভেম্বরে হতে চলা বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখেই কমিশনের এই উদ্যোগ। বর্তমানে বিহারে ভোটার সংখ্যা ৭.২৪ কোটি (১ আগস্ট প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুসারে)। কমিশনের দাবি, নতুন কার্ড ভোটার তালিকাকে করবে আরও নির্ভুল, ভুয়ো ভোটারদের লাগাম টানবে এবং বুথে পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া হবে অনেক সহজ।
ভোটাররা কী ভাবে পাবেন নতুন কার্ড?
- নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী- নতুন আবেদনকারীরা (যাঁরা ফর্ম-৬ জমা দিয়ে মোবাইল নম্বর রেজিস্টার করেছেন) প্রথমে ডাউনলোড করতে পারবেন তাঁদের ই-এপিক।
- পুরনো ভোটাররা ধাপে ধাপে একই সুবিধা পাবেন, মোবাইল নম্বর অথেনটিকেশন করার পর।
- ফিজিক্যাল কার্ডও পৌঁছে যাবে বাড়িতে। আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যেই তা হাতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কমিশন। সঙ্গে থাকছে এসএমএস আপডেট ও এনভিএসপি পোর্টাল থেকে রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং সুবিধা।
কেন এত গুরুত্ব প্রযুক্তিনির্ভর ভোটার আইডি-র?
- কার্ড বিতরণে দেরি হবে না।
- ভোটার জালিয়াতির ঝুঁকি কমবে।
- ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া।
- নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, প্রযুক্তির এই প্রয়োগে বিহারের ভোটার তালিকা যেমন হবে আরও সুরক্ষিত ও স্বচ্ছ, তেমনই আসন্ন নির্বাচনী প্রক্রিয়া হবে আরও আধুনিক।