অর্নবাংশু নিয়োগী: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকায় সন্দেহপ্রকাশ করলেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। রাজ্যের সব নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই এবং ED। এই তদন্ত কবে শেষ হবে সেটা আমরা কেউই জানি না। মন্তব্য বিচারপতি চক্রবর্তীর।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বহুদিন ধরে তদন্ত চলছে। কার মদতে এতবড় দুর্নীতি তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিচারপতি চক্রবর্তী বলেন, এই তদন্ত শেষ হলে তবেই নির্দিষ্ট করে জানা যাবে যে কারা এই দুর্নীতি করেছিল এবং কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে আজ তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, ধরে নেওয়া যাক যে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। যারা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করেছে তারাও যে ওই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সেটা কিভাবে প্রমাণ করা যাবে? মামলাকারির আইনজীবী কুমারজ্যোতি তেওয়ারিকে প্রশ্ন বিচারপতি চক্রবর্তীর।
এদিন মামলাকারীর আইনজীবী সওয়াল করেন, এরা সুবিধাভোগী। এনিয়ে বিচারপতি বলেন, একটাই নিয়োগ প্রক্রিয়া। যদি কোনও Aptittude Test না হয়ে থাকে তাহলে সেটা প্রশিক্ষিত এবং অপ্রশিক্ষিত কারোর ক্ষেত্রেই হয়নি। তাহলে এখন আদালত কী করবে ? এখন যদি আদালত ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীর চাকরি বাতিল করে তাহলে বাকি প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের কি ছেড়ে দেওয়া হবে ? কারণ তারা তো একই নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ। তাদেরও তো তাহলে মামলায় যুক্ত করে বক্তব্য শোনা দরকার।
মামলার শুনানি হবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর। তবে এদিন সওয়াল জবাবে বিচারপতি বলেন, ইতিমধ্যেই বহু শিক্ষক চাকরির ৫ বছর পূর্ণ করেছেন। যদি আরও ২ বছর মামলা চলে তাহলে তারা ৭ বছর সম্পূর্ণ করে ফেলবেন। এর ফলে তারা গ্রাচুইটির একটা অংশের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এর সমাধান কি?