স্রেফ উত্তরপ্রদেশেই ভোটার লিস্টে ১ কোটি সন্দেহজনক ভোটার! চাঞ্চল্যকর তথ্য কমিশনেরই অন্তর্তদন্তে
প্রতিদিন | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত ভোটের আগে খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অন্তর্তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভোটার তালিকায় হদিশ মিলল ১ কোটি সন্দেহজনক ভোটারের। সূত্রের খবর, কোনও কোনও ভোটারের ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় নাম-সহ নানা তথ্য এক। ঠিকানা এবং ছবি সম্পূর্ণ আলাদা। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, নাম এক।
ভোটার তালিকা যাচাইয়ের জন্য এই প্রথমবার উত্তরপ্রদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর ব্যবহার করা হয়েছে। এই যাচাই প্রক্রিয়াতেই ভোটার তালিকায় অনিয়ম প্রকাশ্যে এসেছে। তবে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ব্লক পর্যায়ের আধিকারিক এবং জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন সন্দেহজনক ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করে। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন কমিশনার রাজ প্রতাপ সিং বলেন, “নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এবার কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা প্রযুক্তি এবং ফেস রেকগনিশন সিস্টেম বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে সংবেদনশীল বুথগুলিতে ভুয়ো ভোটার শনাক্ত করার জন্য এআই প্রযুক্তির ব্যবহার হবে।”
সম্প্রতি ভোটমুখী বিহারে শুরু হয়েছে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে তাতেও নাকি হাজার হাজার ‘ভূতুড়ে’ ভোটারের খোঁজ মিলেছে। ‘দ্য রিপোটার্স কালেক্টিভ’-এর তথ্য বলছে, বিহারের বাল্মিকীনগর বিধানসভায় কমপক্ষে হাজারেরও বেশি এমন ভোটারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যাঁরা উত্তরপ্রদেশের ভোটার, তাঁদের নামই নাকি বিহারের ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে।
এই তথ্য সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের দাবি, শুধুমাত্র ভোটবাক্সে ফায়দা তুলতে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে নির্বাচন কমিশন এই কাজ করেছে। যদিও এই বিষয়ে কমিশন কিংবা গেরুয়া শিবিরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বলে রাখা ভালো, এর আগে রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রথমবার ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের মেগা সমাবেশ মঞ্চ থেকেও একই ইস্যুতে সরব হন তিনি। দাবি করেন, ভুয়ো ভোটারদের ব্যবহার করে ভোট বাড়িয়ে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন জেতার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। নির্বাচন কমিশনের ‘আশীর্বাদে’ বিজেপি নেতারা এই কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করেন মমতা। এই পরিস্থিতিতে এবার উত্তরপ্রদেশে মিলল ১ কোটি সন্দেহজনক ভোটারের হদিশ।