• ‘দেরি হয়ে গিয়েছে’, ট্রাম্পের মন্তব্যের পরেও পীযূষের দাবি ‘ভারত-মার্কিন আলোচনা চলছে’
    প্রতিদিন | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ওরা (ভারত) এখন (মার্কিন পণ্যকে) শুল্কশূন্য করার প্রস্তাব দিচ্ছে। এটা ওদের অনেক আগেই করা উচিত ছিল।” সোমবার এই দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই কথায় যে সারবত্তা রয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে গেল কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের মন্তব্যে। মঙ্গলবার তিনি বললেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কথা বলছে ভারত।

    মঙ্গলবার গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি সামিটে পীযূষ বলেন, “ইতিমধ্যে, মরিশাস, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, আরব আমিরশাহীর মতো দেশগুলির সঙ্গে (বাণিজ্য) আলোচনা হয়েছে। এখনও অনেকগুলি দেশের সঙ্গে আলোচনা বাকি রয়েছে। যেমন আমেরিকার সঙ্গে কথা চলছে।” উল্লেখ্য, সোমবার চিনের তিয়ানজিনে এসসিও সামিটের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পার্শ্ববৈঠক করেন। কাছাকাছি এসে ট্রাম্পকে কার্যত বার্তা দেন তিন রাষ্ট্রপ্রধান। এই অবস্থায় ধনকুবের মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য, ‘একতরফা ব্যবসা করে যাচ্ছিল ভারত, এখন দেরি হয়ে গিয়েছে’! অর্থাৎ কিনা কোনও মতেই ভারতীয় পণ্যের উপর শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করবে না আমেরিকা।

    এখানেই না থেমে ইন্দো-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্ককে একপাক্ষিক বিপর্যয় বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রুথ সোশালের একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘খুব কম মানুষই বোঝেন যে আমরা ভারতের সঙ্গে খুব কম ব্যবসা করি। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ব্যবসা করে। সোজা কথায় বলতে গেলে, ভারত আমাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে পণ্য বিক্রি করে। আমরা তাদের সবচেয়ে বড় গ্রাহক (ক্লায়েন্ট)। কিন্তু আমরা তাদের খুব কম পরিমাণ পণ্য বিক্রি করি।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘ভারত এখন আমাদের উপর এত বেশি শুল্ক আরোপ করেছে, যা অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ। আমরা আমাদের পণ্য ভারতে বিক্রি করতে অক্ষম। এটি সম্পূর্ণ একতরফা বিপর্যয়!’’ তবে পীযূষের মঙ্গলের মন্তব্যে বোঝা গেল ট্রাম্পের কথায় সারবত্তা রয়েছে। তবে সত্যিই কি ট্রাম্পের কথা মতো ভারত মার্কিন পণ্য়ে একশ শতাংশ শুল্কছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছে? এই বিষয়ে মুখ খোলেননি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।

    প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপান। পরে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখায় অতিরিক্ত আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। পাশাপাশি সতর্কবার্তা দিয়ে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে তেল বাণিজ্য চালালে ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফার নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)