নয়াদিল্লি: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে আগে ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর তোপ, ভোট চুরির নতুন অস্ত্র এসআইআর। কারচুপি করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এরইমাঝে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। মঙ্গলবার তিনি বলেন, কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র পবন খেরার কাছে দুটি ভোটার কার্ড রয়েছে। বিজেপির এহেন দাবির পরই ভোটাধিকার সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে কংগ্রেস নেতাকে নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এব্যাপারে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় কমিশনের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন পবন খেরা।
কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, কমিশনের গাফিলতির জেরেই এই ঘটনা। ২০১৬ সালে নয়াদিল্লি থেকে চলে আসেন তিনি। তারপর সেখানকার ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কমিশনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কমিশনের কাছে তাঁর দাবি, ‘নয়াদিল্লিতে আমার নামে কে ভোট দিচ্ছে? দ্রুত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখানো হোক।’
এদিন অমিত মালব্য বলেন, ‘কংগ্রেস নেতার নামে দুটি এপিক নম্বর রয়েছে। একটি জাংপুরা ও অন্যটি নয়াদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রের। এরপরই রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, এসআইআরের পর থেকে ছাদে বসে ভোট চুরি, ভোট চুরি বলে চিৎকার করে চলেছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু ভুলে গিয়েছেন তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় নিজের নাম তুলেছিলেন। এবার তাঁর দলেরই নেতা পবন খেরার নামে দুটি এপিক নম্বর পাওয়া গিয়েছে। আসলে কংগ্রেসই ভোট চোর। আর তাই অন্যদের কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন।