• সীমান্তে অবস্থান বদলায়নি বেজিং, আগ বাড়িয়ে সমস্যা মেটার কথা জানাল দিল্লি
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: চীনের সঙ্গে ভারতের সবথেকে বড় যে বিবাদ ও সমস্যা, সেই সীমান্ত সমস্যাই নাকি আর নেই। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করেছেন। চীনের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠতা কেন, যেখানে নানাবিধ সমস্যা ও দূরত্ব রয়েছে? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগে সীমান্ত সমস্যা ছিল। লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর মনান্তর হয়েছে। কিন্তু এখন সীমান্ত সমস্যা মিটে গিয়েছে। তাই, এটাই স্বাভাবিক যে, বন্ধুত্ব বৃদ্ধি পাবে। সুতারং বোঝাই যাচ্ছে, চীন বয়কট আপাতত অতীত। ২০২০ সালে চীনের পণ্যের উপর ঘোষিত এবং কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মোদি সরকার। লাদাখের সংঘর্ষ ও সংঘাতের জেরে বন্দর ও বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়েছিল চীনা পণ্য। ঘোষণা করা হয়েছিল আত্মনির্ভর ভারতের প্রকল্প। অর্থাৎ চীন থেকে যে বিপুল পণ্য ভারতের বাজারে ভেসে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে সেই পণ্য আমদানি কমানো হবে।  কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমদানি শুল্ক আরোপ করার পরই গোটা চিত্রপট পাল্টে যায়। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত হতে শুরু করে দ্রুত। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যোগ দিয়েছেন। ঘোষিত হয়েছে ভারত ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের এক নতুন অধ্যায়ের সমঝোতা। 

    সীমান্ত সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে এত বছর ধরে ভারত সরকার চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড করিডরকে সমর্থন করেনি। সাংহা‌ই সম্মেলনেও ওই করিডরকে সমর্থন করে সই করেনি ভারত। অথচ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বললেন, গলওয়ানের সময় যখন সীমান্ত নিয়ে বিরোধ ছিল, তখন তিক্ততা তৈরি হয়। কিন্তু এখন তো সীমান্তের সমস্যা নেই। তাহলে সম্পর্কের উন্নতিতে বাধা কোথায়? মন্ত্রী এই কথা বললেও অরুণাচল প্রদেশ, লাদাখ, কাশ্মীরের একাংশের উপর চীন নিজেদের অধিকার দাবি করে। এখনও পর্যন্ত সেই দাবি থেকে চীন সরে আসার কোনও লক্ষণ দেখায়নি। প্রশ্ন উঠছে, ভারত ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কি সীমান্ত নিয়ে কোনও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে?
  • Link to this news (বর্তমান)