১৮০ কিমি পানীয় জলের নতুন পাইপ বসাতে সমীক্ষার কাজ শুরু
বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার পুরসভার মাটির নীচে রয়েছে প্রায় ১১৫ কিলোমিটার অ্যাসবেস্টস পাইপ লাইন। আশির দশকে বসানো সেই পাইপ লাইন মাঝে মাঝেই ফেটে যায়, লিক করে। এর ফলে বাসিন্দারা যেমন সমস্যায় পড়েন, তেমনি সেই লিক খুঁজে বের করে তা সারাই করতে পুরসভাকে ব্যাপক হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়। সেই কারণেই পুরসভা ওই অ্যাসবেস্টসের বদলে নতুন করে ১৮০ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসাতে চাইছে। যাতে ভূর্গভস্থ জল গভীর নলকূপের মাধ্যমে তুলে সহজেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া যায়। সেই কাজের সমীক্ষাও মঙ্গলবার থেকে শুরু হল। একটি কোম্পানির পক্ষ থেকে সেই সমীক্ষার কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তোর্সার পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে শহরে আরও ৫৩ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানো হবে। সেই কাজের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, দু’টি পাইপ লাইনের কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তোর্সার জল তুলে তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে ৫৩ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানোর অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। সেটির ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে। পাশাপাশি পুরনো অ্যাসবেস্টসের জায়গায় নতুন পাইপ লাইন বসানোর জন্য সমীক্ষার কাজ এদিন থেকেই শুরু হয়েছে। ১৮০ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানো হবে। তার ড্রয়িং, লে আউটের কাজ তাঁরাই করবেন। এই দু’টি কাজ শেষ করতে পারলে আগামী ৫০ বছরে কোচবিহারে শহরে আর পানীয় জলের সমস্যা থাকবে না। এই দু’টি কাজই আম্রুত-২ প্রকল্পের মাধ্যমে হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন পুরবোর্ডের উদ্যোগে রাজ আমলের লোহার পাইপ লাইনের বদলে সেখানে অ্যাসবেস্টস বসানো হয়েছিল। সেই সময় শহরের জনসংখ্যা কম ছিল। কিছু এলাকার বসতি স্থাপন হয়নি। কিন্তু বর্তমানে সেই চেহারা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। নতুন নতুন এলাকা গড়ে ওঠার পাশাপাশি রাস্তাও বেড়েছে। তার উপরে মাঝে মাঝেই পুরনো পাইপ লাইন ফেটে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে পুরসভা নতুন পাইপ লাইন বসানোর উদ্যোগ নিতে শুরু করে। এবার তার সমীক্ষার কাজ শুরু হল।