• বাজারে হিট সুরাট, বেঙ্গালুরুর মাসরু কাতান-খাড্ডি-জিমিচু
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, কোচবিহার: বাঙালির দুর্গাপুজো মানেই কেনাকাটার হিড়িক। সেপ্টেম্বর মাস পড়তে না পড়তেই কোচবিহারের পুজোর বাজার জমতে শুরু করেছে। এবারে পুজোর বাজার মাতাচ্ছে মাসরু কাতান সিল্ক, খাড্ডি সিল্ক, জিমিচু শাড়ি। আর যাঁরা হাল ফ্যাশনে অভ্যস্ত তাঁদের চাহিদা পূরণে এসেছে ব্যাগী জিন্স, কটন কার্গো। 

    মাঝেমধ্যে ছিঁটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও তুলনামূলকভাবে আবহাওয়া বেশ ভালোই। কোচবিহারে বড়দেবীর মন্দিরে প্রতিমা বানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। গত রবিবার থেকে ভবানীগঞ্জ বাজারে ক্রেতাদের ভিড় জমছে। অনেকেই চাইছেন আগেভাগে পছন্দের পোশাক কিনে নিতে। অনেকে পুজোর ভিড় এড়াতে আগে বাজারে আসছেন। ভবানীগঞ্জ বাজারের পাশাপাশি বিশ্বসিংহ রোড, সুনীতি রোড, দেশবন্ধু মার্কেট সহ কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকার বস্ত্র বিপণীতে পুজোর স্টক চলে এসেছে। আসছে আরও। 

    কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুরজকুমার ঘোষ বলেন, গত রবিবার থেকে সপ্তাহের প্রতিদিনই বাজার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুজোর বাজার জমতে শুরু করেছে। এবারে বিভিন্ন ধরনের কাতান সিল্কের চাহিদা বেশ ভালো। তারমধ্যে মাসরু 

    কাতান সিল্ক, খাড্ডি সিল্ক, জিমিচু প্রভৃতি শাড়ির চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। সুরাট, বেঙ্গালুরু, মুর্শিদাবাদ থেকে মূলত এসব শাড়ি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিয়ে এসেছেন। 

    পুজোর বাজারে মেয়েদের ওয়েস্টার্ন, টু-পিস, ত্রি-পিস, ডব্লু কাট স্কার্টের ভালো চাহিদা আছে। আবার শেরওয়ানি, জিন্সের ব্যাগী, কটন কার্গোরও ভালো কাটতি রয়েছে। শাড়ির মধ্যে ঢোলা সিল্ক, কোষা সিল্ক, বিভিন্ন বুটিকের শাড়ি, বালুচরি তো আছেই। এছাড়াও পিওর সিল্ক, জামদানি ইত্যাদি শাড়ির চাহিদাও বেশ ভালো। 

    কোচবিহারের বাজার মানে শুধুমাত্র এখানকার মানুষই আসে, এমনটা নয়। প্রতিবছরই পুজোর সময় নিম্নঅসমের একটা বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এখান থেকে কেনাকাটা করে যায়। সেই চাহিদার দিকে তাকিয়েও ব্যবসায়ীরা হাল ফ্যাশনের পোশাক রাখেন। আর এখন শুধু দোকান 

    নয়, শপিংমলগুলিতেও মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেছে। পাশাপাশি জুতো, কসমেটিক্স সহ সব ধরনের দোকানেই পুজোর কেনাকাটার জন্য ভিড় জমতে শুরু করেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)