• ভূতনিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, উচ্চ মাধ্যমিক নিয়ে চিন্তা, প্রয়োজনে পরীক্ষাকেন্দ্র বদল
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনিতে ক্রমশ বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আপাতত রাস্তা জলমগ্ন হলেও পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, জল ঢুকতে পারে এলাকার তিনটি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেক্ষেত্রে পাঁচদিন পর শুরু হতে চলা উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম সেমেস্টারের ভেন্যু বদলের রাস্তাও খোলা রাখা হচ্ছে। 

    স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দু’দিন পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হবে। তারপরেই সবদিক ভেবে ভেন্যু পরিবর্তনের কথা ভাবা হবে।  তবে, জল ভেঙে কীভাবে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে পৌঁছবে, তা নিয়েও চিন্তা রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে দাবি সেন্টার সেক্রেটারির।

    গঙ্গা ও ফুলহার নদীর জল ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ভূতনিতে। উত্তর ও দক্ষিণ চণ্ডীপুরের বিভিন্ন গ্রামে রাস্তাঘাটে জল থাকায় একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ। পুলিনটোলা, গিরিটোলা, শঙ্করটোলা সম্পূর্ণ জলমগ্ন। এই দুশ্চিন্তার মধ্যেই ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় সেমেস্টার। সংসদের সময়সূচি অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল চণ্ডীপুর, উত্তর চণ্ডীপুর ও আমতলা নন্দীটোলা উচ্চ বিদ্যালয়। কিন্তু সব আয়োজনে বাধ সেধেছে বন্যা পরিস্থিতি। কয়েকদিন ধরে গঙ্গা ও ফুলহারের জল বাড়তে থাকায় দুশ্চিন্তায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নদীর জল বিদ্যালয়ে প্রবেশ না করলেও আশেপাশের এলাকা জলমগ্ন। সেই জল পেরিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছনো ঝক্কির। তাছাড়া, আবহাওয়ার যা পূর্বাভাস,, তাতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কয়েকদিনে নদীগুলিতে জলস্তর আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকায় সবপক্ষের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

    ভূতনির তিনটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৫৮ জন উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। প্রতিটি বিদ্যালয়ের পরীক্ষা প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। অ্যাডমিট থেকে শুরু করে সবকিছুই প্রদান করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের। উত্তর চণ্ডীপুর বিপি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শশাঙ্ক মণ্ডল বলেন, বিদ্যালয়ে না ঢুকলেও রাস্তাঘাটে এক হাঁটু জল। ক্রমশ জলস্তর বাড়তে থাকায় দু’দিন পর পরিস্থিতি কোনদিকে যায়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি। জল বেড়ে গেলে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। পরীক্ষা কেন্দ্র বদল করা হতে পারে, সেই চিন্তাভাবনা নিয়েই আমরা এগচ্ছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

    তবে, পরীক্ষা কেন্দ্র বদলের ক্ষেত্রেও রয়েছে সমস্যা। ভূতনির জলমগ্ন এলাকা পেরিয়ে কীভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছবেন পরীক্ষার্থী, সেটাই বড় প্রশ্ন। যাতায়াতের সময় পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে অঘটন ঘটলে তার দায় কে নেবে, সেই আলোচনাও শুরু হয়েছে। বিষয়টি মালদহ জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা ভেন্যু সেক্রেটারি।

    মালদহের ডিআই বাণীব্রত দাস বলেন, বিষয়টি নজরে রয়েছে। শীঘ্রই স্কুলগুলির সঙ্গে আলোচনা করব। তারপর এলাকার পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)