• দীঘার অমরাবতী বিনোদন পার্ককে নতুন রূপে তুলে ধরল ডিএসডিএ
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাঁথি: সৈকতশহর দীঘার অন্যতম আকর্ষণীয় অমরাবতী বিনোদন পার্ককে ঢেলে সাজিয়েছে দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা(ডিএসডিএ)। দীঘা জগন্নাথ মন্দিরের কাছেই এই পার্কটি রয়েছে। আগে কমবেশি ভিড় হলেও জগন্নাথ মন্দির চালু হওয়ার পর থেকে এই পার্কেও পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। দৈনিক গড়ে হাজারের কাছাকাছি পর্যটক পার্কে আসতেন। জগন্নাথ মন্দির চালু হওয়ার পর সেই সংখ্যাটা আরও বেড়েছে বলে ডিএসডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে। মন্দির দর্শনের পাশাপাশি পার্কেও ঢুঁ মেরে যাচ্ছেন তাঁরা। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলিতে পার্কে যথেষ্ট ভিড় হয়। ডিএসডিএ প্রায় ১০লক্ষ টাকা খরচে পার্কটিকে নতুনভাবে সাজিয়েছে।

    শিশুদের কাছে পার্কটিকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সেখানে নারায়ণ দেবনাথের কার্টুন চরিত্র হাঁদা-ভোঁদার কাণ্ডকারখানা, বাহাদুর বিড়াল, বাঁটুল দি গ্রেট প্রভৃতি মডেল বসেছে। পার্কের মধ্যে ভগ্ন কাঠের সেতুটি নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। পার্কে জলাশয়ের চারদিকের পাড় বোল্ডার দিয়ে বাঁধানো হয়েছে। জলাশয়ে প্যাডেল বোটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পার্কের মধ্যে নতুন বেশকিছু আলোকস্তম্ভ লাগানো হয়েছে। বসার আসনের সংখ্যা বেড়েছে। সুদৃশ্য পেভওয়ে তৈরি হয়েছে। 

    আগামী দিনে পর্যটকরা পার্কের মধ্যে ঢুকলে সাউন্ড সিস্টেমে সুমধুর গান শুনতে পাবেন। সিসি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হবে গোটা পার্ক। আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। 

    উল্লেখ্য, দীঘায় যে কয়েকটি বিনোদন পার্ক রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে পুরনো  অমরাবতী পার্ক। এই পার্কে প্রচুর ফুল ও ফলের গাছ এবং বাহারি গাছগাছালি রয়েছে। ছোটদের বিনোদনের জন্য স্লিপার থেকে হরেকরকমের আকর্ষণীয় বিনোদন উপকরণ রয়েছে। পার্কের মাঝখানে একটি দ্বীপের মতো রয়েছে, যা পর্যটকদের খুব পছন্দের। সেখানে রয়েছে ছোট পাহাড়। তার গা বেয়ে নেমে আসছে কৃত্রিম ঝর্ণা। উপরে ওঠার জন্য সুদৃশ্য কাঠের সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। জলাশয়ে সবসময় রাজহাঁস খেলা করে। গাছগাছালিতে ভরা এক অপূর্ব পরিবেশের মধ্যে প্যাডেল বোটে জলাশয়ে বিচরণ করেন পর্যটকরা। পার্কে একাধিক বড় খাঁচার মধ্যে থাকা নানা প্রজাতির পাখিদের সঙ্গেও আলাপ করার সুযোগ রয়েছে। তবে পার্কে অন্যতম আকর্ষণ রোপওয়ে। ছোট আকারের রোপওয়েটি জলাশয়ের উপর বিস্তৃত। তাতে চেপে পর্যটকরা আনন্দ উপভোগ করেন। শিশুরা তো বটেই, সব বয়সের মানুষই এই পার্কে বেড়াতে আসতে পছন্দ করেন। এর আগে পুরনো পরিকাঠামো ও উপকরণ নিয়ে চলছিল পার্কটি। নতুন কোনও বিনোদনের উপকরণ না থাকায় পর্যটকদের পার্কটির প্রতি আগ্রহও কমছিল। এই পরিস্থিতিতে পার্কটিকে নানা বিনোদন উপাদানের মাধ্যমে নতুনভাবে সাজানোর দাবি তুলেছিলেন পর্যটকরা। সেইমতো রাজ্য সরকারের কাছে এব্যাপারে খসড়া তৈরি করে জমা দিয়েছিল ডিএসডিএ। অর্থ বরাদ্দ হওয়ার পর কাজ হয়েছে। ডিএসডিএর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক নীলাঞ্জন মণ্ডল বলেন, অমরাবতী পার্ককে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে।  ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)