• অযোগ্যদের রোখাই চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের, জেলায় ৫৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে কড়া নজরদারি
    বর্তমান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: অযোগ্য প্রার্থীদের কাছেও রয়েছে ডাউনলোড করা বৈধ অ্যাডমিট কার্ড। তারা সেই অ্যাডমিট নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে এলে চিহ্নিত করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। আগামী রবিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় তাই গোলযোগ তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। এসএসসি জেলা প্রশাসনের উপরেই এই বিষয়টি ছেড়ে দিতে চাইছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। 

    মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলায় দু’ দফায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জেলা প্রশাসন এবং ভেন্যু ইনচার্জদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। সেখানে ওয়েস্ট বেঙ্গল রিজিওনাল (মালদা) স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। দুই বৈঠকেই এসএসসির চিহ্নিত করা অযোগ্য প্রার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যেহেতু ওই পরীক্ষার্থীদের কাছে বৈধ অ্যাডমিট আছে, তাহলে পরীক্ষা কেন্দ্রে তাদের ঢুকতে বাধা দিলে সমস্যা হতে পারে। এদিন, এসএসসির তরফে বিষয়টি মোকাবিলার দায়িত্ব পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে বলা হয়েছে, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে আসন বিন্যাস করার সময়ে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের রোল  নম্বর বাদ দিতে হবে। তাহলে তারা পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে এলেও কোনওভাবে পরীক্ষায় বসতে পারবে না। তবে জেলা প্রশাসনের বৈঠকে এসএসসির এই প্রস্তাব শুনে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার সময়ে হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ওই অযোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করা সমস্যার হবে। কারণ যোগ্য এবং অযোগ্য দুই প্রার্থীদের কাছেই একই অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে। এসএসসির কাছে সুযোগ ছিল এই অযোগ্যদের আলাদা করে বাছাই করা। কিন্তু তারা সেটা না করে, সকলের অ্যাডমিট ইস্যু করেছে বলে প্রকাশ্য বৈঠকে খেদ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। 

    জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে যারা অ্যাডমিট নিয়ে আসবে তাদের ঢুকতে দেওয়ার দায়বদ্ধতা আছে আমাদের। ওখানে এসএসসির দায়িত্ব, কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য তা বাছাই করা। পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেজন্য প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাড়াও দুইজন করে অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে। মেডিক্যাল টিম থাকবে প্রতিটি কেন্দ্রে। বিদ্যুৎ পরিষেবায় যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য বিদ্যুৎ দপ্তরকে বলা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রের ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনও মাইক বাজবে না এবং জেরক্সে দোকান খুলবে না।

    অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আছে। সেজন্য আমাদের জেলায় মোট ৫৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচিত করা হয়েছে। সেখানে ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবেন। ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে। জেলায় ৩৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রায় ১৯ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারেন। প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হলেন ভেনু ইনচার্জ। এসআই ও ডিআইরা ভেন্যু সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করবেন। এছাড়াও তাঁদের উপরে প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন করে এক্সটেনশন অফিসার থাকবেন। অর্থাৎ প্রতিটি ভেন্যুতেই একজন করে ডব্লুবিসিএস অফিসার দায়িত্বে থাকবেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)