• শহর জুড়ে ডাস্টবিন থাকলেও রাস্তাতেই আবর্জনা, কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি পুরসভার চেয়ারম্যানের
    এই সময় | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • শহর জুড়ে রাখা আছে ডাস্টবিন। আছে ভ্যাটও। বাড়ির নোংরা ফেলার জন্য দেওয়া হয়েছে ডাস্টবিনও। তার পরেও শহর জুড়ে আবর্জনা। গন্ধে পথ চলা দায়। নাকে হাত দিয়ে পার হতে হচ্ছে ওই এলাকা। এই নিয়ে পুরসভার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন বাসিন্দারা। আর এই পরিস্থিতির জন্য বাসিন্দাদেরকেই দায়ী করছেন সিউড়ি পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

    বীরভূম জেলার সদর শহর আবর্জনার স্তুপে পরিণত হলেও হুঁশ নেই বাসিন্দাদের। সিউড়ি পুরসভার আধিকারিকদের দাবি, এই অবস্থার জন্য দায়ী বাসিন্দারাই। কারণ তাঁরাই নির্দিষ্ট জায়গায় না ফেলে রাস্তার পাশেই আবর্জনা ফেলছেন। তবে এই জিনিস যে বেশি দিন চলবে না তা জানিয়ে দিয়েছেন সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। আবর্জনা ফেলা নিয়ে বাসিন্দারা সচেতন না হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যদিও এই ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হবে তা জানাননি সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান।

    প্রসঙ্গত, নবান্নে রাজ্যের সব পুরসভার চেয়ারম্যানদের বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিনই কোন শহর কতটা পরিষ্কার তার একটি তালিকা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পরিচ্ছন্নতার নিরিখে রাজ্যের সব থেকে খারাপ তিনটি পুরসভার তালিকায় নাম ছিল সিউড়ির। এর পরই নড়েচড়ে বসে সিউড়ি পুরসভা। তলব করা হয় স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকেও। জোর কদমে সিউড়ি শহর পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে শহরের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় দু'টি করে ডাস্টবিন। শহরের প্রতিটি মোড় এবং পাড়ার ভেতরের রাস্তাগুলিতে বসানো হয় গারবেজ ভ্যান এবং ডাস্টবিন।

    এর পরেও সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড, জেলখানা মোড়, চাঁদনীপাড়া-সহ বহু জায়গায় ডাস্টবিন থাকলেও রাস্তাতেই আবর্জনা ফেলছেন শহরবাসী। তাতেই বেজায় ক্ষুব্ধ পুরসভার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে রাস্তায় প্রচুর ডাস্টবিন দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি নীল ও সবুজ ডাস্টবিন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখনও যদি মানুষ সচেতন না হন তাহলে পুরসভাকে এ বার কড়া পদক্ষেপ করার পথে হাঁটতে হবে। এ ছাড়া অন্য উপায় নেই।’

  • Link to this news (এই সময়)