আগামী রবিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। তার আগে পরীক্ষার্থীদের সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে ফের সতর্ক করল কমিশন। মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা জানিয়েছে, বার বার বলা সত্ত্বেও বহু পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ডে ছবি ও সই ঠিক ভাবে আপলোড করেননি। যদিও প্রথম বার আপলোড না হলে ফের তা আপলোডের ব্যবস্থা ছিল। তা সত্ত্বেও যাঁদের ছবি ও সই আপলোড হয়নি, তাঁদের পরীক্ষা কেন্দ্রে আধার কিংবা ভোটার কার্ড নিয়ে যেতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে নিজের সই করা প্রতিলিপি। তা না থাকলে পরীক্ষায় বসা যাবে না।
পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে এ বার নানা ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। পরীক্ষা শুরু বেলা ১২টা থেকে। চলবে দেড়টা পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীদের বেলা ১১টার মধ্যে পরীক্ষার হলে ঢুকে পড়তে হবে। তবে, অ্যাডমিট কার্ডের ছবি ও সই নিয়ে সমস্যা থাকলে ১০টার মধ্যে ঢুকতে হবে। ১১টা ৪৫ মিনিটে পরীক্ষার হলের গেট বন্ধ হয়ে যাবে। তার পরে কেউ ঢুকতে পারবেন না। পরীক্ষার দেড় ঘণ্টা সময় শেষ হওয়ার আগে কেউ বেরোতে পারবেন না। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর দেহ তল্লাশি হবে। তাঁরা ঘড়ি পরতে পারবেন না। অ্যাডমিট কার্ড, জরুরি নথিপত্র, নীল বা কালো কালির বল পয়েন্ট পেন বাদে পরীক্ষার্থীরা সঙ্গে শুধু স্বচ্ছ জলের বোতল রাখতে পারবেন। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি থাকছে।
গত বার এসএসসি-র পরীক্ষায় বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল ওএমআর শিট। এ বার তাই ওএমআর নিয়ে অতি সতর্ক কমিশন। এ বার পরীক্ষার্থীরা যে ওএমআর শিটে লিখবেন, সেটির কার্বন প্রতিলিপি তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। পরীক্ষার কিছু দিন পরে উত্তরপত্র এসএসসি তাদের ওয়েবসাইটে দেবে। পরীক্ষার্থীরা তা মিলিয়ে নিতে পারবেন। যদি কারও মনে হয়, এসএসসি-র উত্তরে ভুল আছে, তা হলে তা জানানোর সুযোগ থাকবে। সেটি দেখে বিশেষজ্ঞেরা যদি মনে করেন ভুল আছে, তা হলে তা সংশোধন করা হবে। শিক্ষা দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘এ বার সব ধরনের স্বচ্ছতা আনা হচ্ছে।’’ আগামী রবিবারের পরে ফের ১৪ সেপ্টেম্বর, রবিবার একাদশ ও দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা।