• বাঁশবেড়িয়ায় খুনের ঘটনায় পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য, জানলে চমকে যাবেন আপনিও...
    আজকাল | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ হাড়হিম ঘটনা বাঁশবেড়িয়ায়। প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন। এরপর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ভাসিয়ে দেওয়া হল গঙ্গায়। অভিযোগ এমনই। বাঁশবেড়িয়ায় যুবক খুনে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে। গত ১৮ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল হুগলির মগরা থানার অন্তর্গত বাঁশবেড়িয়া ঝুলুনিয়া এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্ণণ চৌধুরি। গত ২১ শে আগস্ট পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়রি করা হয় মগরা থানায়। পুলিশের তরফে তল্লাশি শুরু করা হয় নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে। এলাকায় স্নিফার ডগ এনে তল্লাশি চালায় হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে গঙ্গায় খোঁজ শুরু করা হয়। ঘটনায় শিবনাথ সাউ ওরফে শিবুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মগরা থানার পুলিশ শিবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দু’‌জনকে গ্রেপ্তার করে। 

    জানা গেছে, পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে দিঘায় ঘুরতে গিয়েছিল লক্ষ্ণণ। সেখান থেকে ফিরে আসার পর শিবু বাড়ি থেকে লক্ষ্ণণকে ক্লাবে ডেকে নিয়ে যায় বলে দাবি করে লক্ষ্ণণের পরিবার। ঘটনার সঙ্গে শিবু যুক্ত আছে বলে প্রাথমিক অনুমান করে পুলিশ। এরপর শিবুকে গ্রেপ্তার করে জেরা করতেই লক্ষ্ণণকে খুন করার কথা স্বীকার করে শিবু বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুরোনো শত্রুতার জেরেই খুন করা হয় লক্ষ্ণণকে। পুলিশ জানিয়েছে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় লক্ষ্ণণকে। খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ টুকরো টুকরো করে তা গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

    এটা ঘটনা, পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ ছিল বাঁশবেড়িয়ার মহাকালীতলার লক্ষ্মণ চৌধুরী নামে এক যুবক। তাঁর পরিবারের দায়ের করা অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে লক্ষ্মণের বন্ধু শিবনাথ সাউকে (শিবু) বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে লক্ষ্মণের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাঁর খোঁজ চলছে বিভিন্ন এলাকায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হচ্ছে। বাঁশবেড়িয়ার এক ব্যবসায়ীর কাছে কাজ করত লক্ষ্মণ। জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে আটটা মামলা ছিল। যার মধ্যে তিনটে খুনের মামলা রয়েছে। প্রায় আট বছর জেলে ছিল লক্ষ্মণ। লক্ষ্মণকে অপহরণ করা হয়েছে বলে তার মা পুষ্পা দেবী চৌধুরি ও বোন সুস্মিতা চৌধুরী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পুলিশ তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার দিন এলাকার একটি ক্লাবে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল লক্ষ্মণকে। তারপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ মেলেনি।

    পুরোনো কোনও শত্রুতার জেরে এই ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃত শিবু সহ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

     
  • Link to this news (আজকাল)