রেশন কার্ডের নিয়মে বদল সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ মন্ত্রীর
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার সময়সীমায় বড়সড় বদল আনল রাজ্য খাদ্য দপ্তর। এতদিন পর্যন্ত টানা দু’মাস রেশন না তুললেই গ্রাহকের কার্ড হয়ে যেত ‘নিষ্ক্রিয়’! এবার সেই সময়সীমাকেই বৃদ্ধি করা হল। লক্ষ্য একটাই, রেশন থেকে যেন কোনো গ্রাহক বঞ্চিত না হন। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখন থেকে টানা ছ’মাস খাদ্যশস্য না তুললেই কেবল কার্ড সাময়িকভাবে নিষ্ক্রিয় হবে। খাদ্য দপ্তরের তরফে জারি হওয়া সংশোধিত কন্ট্রোল অর্ডারে এই নতুন নিয়ম স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। দপ্তর সূত্রে খবর, নিষ্ক্রিয় কার্ড ফের চালু করার জন্য গ্রাহককে করতে হবে
ই-কেওয়াইসি, যার জন্য প্রয়োজন হবে আধার-বায়োমেট্রিক যাচাই। তবে এখানেও কিছু নিয়মাবলী রয়েছে। একবার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে, ছ’মাসের মধ্যেই তা ফের চালু করতে হবে। নচেৎ নিয়ম মেনে সেই কার্ড পুরোপুরি বাতিল হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে রেশন পরিষেবা পেতে হলে গ্রাহককে আবার নতুন করে রেশন কার্ডের আবেদন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে জারি হওয়া পূর্ণাঙ্গ কন্ট্রোল অর্ডারে বলা হয়েছিল, টানা দু’মাস রেশন না তুললেই কার্ড নিষ্ক্রিয় হবে এবং ছ’মাস না তোলার পর তা বাতিল হয়ে যাবে। তবে এবার সময়সীমা বাড়িয়ে ছ’মাস করা হয়েছে, যার ফলে অসুস্থতা বা বাইরে থাকার কারণে সাময়িকভাবে রেশন তুলতে না-পারা গ্রাহকেরা স্বস্তি পাবেন। রাজ্যের সংশোধিত কন্ট্রোল অর্ডারে যদিও ছ’মাসের মধ্যে পুনরায় কার্ড চালু করার সুযোগ থাকছে, তবু নির্দিষ্ট সময়সীমা না মানলে বাতিলের নিয়মে কোনও রকম ছাড় দেওয়া হয়নি।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘সাময়িকভাবে কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার সময়সীমা নিতান্তই কম ছিল। ফলে গ্রাহক অসুস্থ হলে বা বাইরে থাকলে সমস্যার সম্মুখীন হতেন। সময়সীমা বৃদ্ধির ফলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন এবং অযথা হয়রানি হবে না। রেশন কার্ড সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা এখন এমনিই অনলাইনে মেটানো সম্ভব। ফলে, রেশন পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের বাড়তি দুশ্চিন্তা এখন নেই বললেই চলে।’
রেশন ডিলারদের সর্বভারতীয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘কার্ড নিষ্ক্রিয়ের সময়সীমা ছ’মাস হওয়ায় বহু সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। তবে আমাদের দাবি, কার্ড নিষ্ক্রিয় করার আগে যেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে ফোন বা চিঠি মারফত জানানো হয়। এখন অনেকেই রেশন দোকানে গিয়ে হঠাৎ জানতে পারেন যে তাঁদের কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে—তাতে অকারণে বিতর্ক তৈরি হয়।’