অয়ন ঘোষাল: প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে তাণ্ডব চালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। পাঁচ দিন পর সেই তাণ্ডবকারী বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে গ্রেফতার করল পুলিস। ট্যাংরা এলাকায় এক অভিজাত আবাসনে এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন রাকেশ। টানা পাঁচ দিন লুকিয়ে থাকলেও পুলিসের গাড়িতে ওঠার সময়ে রাকেশের হুংকার, 'কলকাতা পুলিস হুঁশিয়ার। রাকেশ সিং কখনও ভয় পায়নি, ভয় পাবেও না।'
পুলিস সূত্রে খবর গতকাল গভীর রাতে রাকেশ সিংকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিসের অ্যান্টি রাউডি স্কোয়াড। তাকে আপাতত রাখা হয়েছে লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে। আজ বেলা একটা নাগাদ তাকে আদালতে তোলা হতে পারে। তার বিরুদ্ধে ১১টি ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে। এর আগে রাকেশের ছেলে শিবমকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। গত শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। রাহুল গান্ধীর ছবি-সহ কংগ্রেসের পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিহারে প্রধানমন্ত্রীর সভায় কুমন্তব্যের প্রতিবাদে গত শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে তাণ্ডব চালাতে দেখা যায় এই বিজেপি নেতা ও তাঁর দলবলকে। তাণ্ডবের নেতৃত্ব দেন বিজেপি নেতা রাকেশ। ওই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ঘটনার পরই লুকিয়ে পড়েছিলেন রাকেশ সিং। কিন্তু তাকে পুলিস ধরল কীভাবে? জানা যাচ্ছে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন রাকেশ। এরপর বাড়ির হটস্পটের মাধ্যমে পরিচিতদের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ কল ও ফেসবুক লাইভ করেন রাকেশ। কখনও তাঁর মেয়ে সিমরন ফেসবুক লাইভে করেছিলেন। সিমরনের মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করেছিল পুলিস। সিমরন যেখানে ফেসবুক লাইভ করছেন সেখানে রাকেশকে দেখা যাচ্ছিল। ফলে যেখানে সিমরন রয়েছেন সেখানেই রাকেশ রয়েছেন বলে পুলিস নিশ্চিত হয়ে যায়। পাশাপাশি, রাকেশের নামে লুক আউট নোটিস জারি হয়েছিল। ফলে কলকাতা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার কোনও উপায় ছিল না। ফলে পুলিস নিশ্চিত হয় রাকেশ কলকাতাতেই রয়েছে। পরে পুলিস ফোন ট্যাক কে জানতে পারে রাকেশ ট্যাংরায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছে। তারপর সেখানে গিয়ে পুলিস তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।