• কৃষ্ণনগর জেলে মামার থেকে দূরে রাখা হলো ভাগ্নেকে, ‘আমদানি ওয়ার্ড’-এ প্রায় ‘স্বাভাবিক’ আচরণ দেশরাজের
    এই সময় | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • কৃষ্ণনগরের তরুণী ঈশিতা মল্লিককে খুনের অভিযোগে ধৃত মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিং এখন জেল হেফাজতে। বুধবার দুপুরেই তাকে নিয়ে টিআই প্যারেড করবে পুলিশ। কৃষ্ণনগর জেলে টিআই প্যারেড হওয়ার কথা। সেই মতো দেশরাজকে শনাক্ত করতে ঈশিতার বাড়ির লোকজনকেও আনা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, তারপরেই দেশরাজকে কৃষ্ণনগর আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। ‌ইতিমধ্যেই দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনিও কৃষ্ণনগর জেলেই রয়েছেন।

    পাশাপাশি রাজস্থানের জয়সলমীরে দেশরাজের বাবার রাঘবেন্দ্রপ্রতাপ সিংকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাঁকেও কৃষ্ণনগরে আনা হবে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

    জেলের একটি সূত্রে খবর, দেশরাজকে জেলের ‘আমদানি ওয়ার্ড’-এ রাখা হয়েছে। সেখানে অন্য আবাসিকরা রয়েছেন। প্রথম কারও জেল হেফাজত হলে ওই সেলেই রাখা হয়। দেশরাজের মামাকে যদিও সেখান থেকে বেশ খানিকটা দূরে অন্য সেলে রাখা হয়েছে। জেলের পরিভাষায় ‘হাজত বিল্ডিং’ বলা হয়। জেলের এক কর্তা বলছেন, ‘দেশরাজ স্বাভাবিকই রয়েছে। খুব যে ভেঙে পড়েছে তা নয়। একটু টেনশনে হয়তো আছে, তবে দেখে ভীষণ যে চিন্তিত, এমনও মনে হচ্ছে না। তবে ধরা পড়ে গিয়েছে, এটা বুঝতে পেরেছে, সেটা মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে।’

    তদন্ত প্রক্রিয়া অনেকটাই গুটিয়ে এনেছে পুলিশ। যথাসম্ভব দ্রুত চার্জশিট তৈরি করে ট্রায়াল প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে তারা। খুনে ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    গত ২৫ অগস্ট কৃষ্ণনগরের মানিকপাড়ায় ঘরের মধ্যে ঢুকে গুলি করে ঈশিতাকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে প্রেমিক দেশরাজ। এরপর উত্তরপ্রদেশে গা ঢাকা দিয়ে থাকে সে। এই ‘হাইড অ্যান্ড সিক’ পর্বে পরিবারের বাহুবলীদের মদত নেওয়া, নানাভাবে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার মতো বিভিন্ন পথ অবলম্বন করেছিল দেশরাজ ও তার পরিবার।

  • Link to this news (এই সময়)