ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করতে হবে, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ পাঠাল অমিত শাহর মন্ত্রক
আজকাল | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী বিদেশ নাগরিকদের নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী বিদেশিদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ওই ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হবে। আর এর জন্য ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালকে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে অমিত শাহর মন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও সন্দেহভাজনকে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠাতে পারবে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। যদি ওই সন্দেহভাজন বিদেশি দাবি করেন যে তিনি বিদেশি নন। তারপরও এই নিয়ে কোনও প্রমাণ দাখিল করতে না পারেন কিংবা আদালত থেকে এই নিয়ে জামিনের ব্যবস্থা না করতে পারেন, তবে তাঁকে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হবে। অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী বিদেশিদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর আগে তাঁদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ডিটেনশন শিবিরে পাঠানো হবে। সম্প্রতি পাশ হওয়া অভিবাসন ও বিদেশি আইন, ২০২৫–র পরিপ্রেক্ষিতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, ভারতের কোনও পর্বতশৃঙ্গে ওঠার জন্য বিদেশিদের কেন্দ্রের অনুমোদন নিতে হবে। এছাড়া কোনও গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত বিদেশিদের ভারতে প্রবেশ কিংবা এখানে থাকার অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে দেশ জুড়ে অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আর তা নিয়ে বেশ ঝামেলাও হচ্ছে। যেমন ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে সরব হয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে, চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা ভোট। কমিশন জানিয়েছে, এসআইআর–এর পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বের হলেই বিহারের ভোটাররা নয়া প্রযুক্তিনির্ভর ভোটার পরিচয়পত্র হাতে পাবেন।
আসন্ন অক্টোবর–নভেম্বরে হতে চলা বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখেই কমিশনের এই উদ্যোগ। বর্তমানে বিহারে ভোটার সংখ্যা ৭.২৪ কোটি (১ আগস্ট প্রকাশিত খসড়া তালিকা অনুসারে)। কমিশনের দাবি, নতুন কার্ড ভোটার তালিকাকে করবে আরও নির্ভুল, ভুয়ো ভোটারদের লাগাম টানবে এবং বুথে পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া হবে অনেক সহজ।
ভোটাররা কী ভাবে পাবেন নতুন কার্ড?
- নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী- নতুন আবেদনকারীরা (যাঁরা ফর্ম-৬ জমা দিয়ে মোবাইল নম্বর রেজিস্টার করেছেন) প্রথমে ডাউনলোড করতে পারবেন তাঁদের ই-এপিক।
- পুরনো ভোটাররা ধাপে ধাপে একই সুবিধা পাবেন, মোবাইল নম্বর অথেনটিকেশন করার পর।
- ফিজিক্যাল কার্ডও পৌঁছে যাবে বাড়িতে। আবেদন করার ১৫ দিনের মধ্যেই তা হাতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কমিশন। সঙ্গে থাকছে এসএমএস আপডেট ও এনভিএসপি পোর্টাল থেকে রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং সুবিধা।
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, প্রযুক্তির এই প্রয়োগে বিহারের ভোটার তালিকা যেমন হবে আরও সুরক্ষিত ও স্বচ্ছ, তেমনই আসন্ন নির্বাচনী প্রক্রিয়া হবে আরও আধুনিক।