আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাতসকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা উলুবেড়িয়ায়। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল হইচই উলুবেড়িয়া শ্যামপুর রোডে বাগাণ্ডা মনসাতলায়। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পুলিশের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। তবে পলাতক লরির চালক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মনিরুল ইসলাম। তাঁর বয়স ২৫ বছর। ওই যুবকের বাড়ি বাগাণ্ডায়। বুধবার ভোরে বাইকে বাগাণ্ডা থেকে শ্যামপুর ৫৮ গেটের দিকে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। মনসাতলার কাছে রাস্তায় জলের লাইনের জন্য মাটি খোঁড়া হয়েছে। ফলে রাস্তার অর্ধেক জুড়ে পড়ে রয়েছে মাটি। তার ফলে কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মনিরুল মাটির উপরে পড়ে যায়। এই সময় শ্যামপুরের দিক থেকে উলুবেড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল একটি লরি। সেটি পিষে দেয় যুবককে। স্থানীয়রা দেখামাত্রই ছুটে যায়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের।
এই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় উন্মত্ত জনতাকে শান্ত করে পুলিশ। তারপর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শ্যামপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে যুবকের বাড়িতে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। পলাতক লরি চালকের খোঁজ করছে পুলিশ।
এদিকে, রাধা অষ্টমীর প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ৪০ জন। অসুস্থরা ভর্তি কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে নামখানা ব্লকের অন্তর্গত নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গণেশ নগর এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়িতে রাধা অষ্টমী পূজো হয়। রাধা অষ্টমীর পুজো উপলক্ষে গ্রামবাসীদের প্রসাদ গ্রহণ করার জন্য নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। রাতে গ্রামবাসীরা ওই ব্যক্তির বাড়িতে পুজোয় অংশগ্রহণ করে এবং প্রসাদ গ্রহণ করেন। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকে গ্রামবাসীদের শুরু হয় পেটে যন্ত্রণা। বেলা যত বেড়েছে একের পর এক গ্রামবাসীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার রাতে অসুস্থ ৪০ জন গ্রামবাসীকে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে আসা হয় কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। অসুস্থদের মধ্যে রয়েছে আট থেকে আশি। কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সূত্রে খবর, সকলেই ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন।
জানা গেছে, মূলত ওই প্রসাদে ছিল লুচি, ঘুগনি ও তালের বোড়া। খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে এলাকাবাসীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে ধারণা হাসপাতালের। এ বিষয়ে কল্পনা প্রধান নামে এক মহিলা জানান, ‘আমার ছেলে টিউশন পড়তে গিয়ে শিক্ষিকার বাড়িতে রাধা অষ্টমীর প্রসাদ খেয়েছিল। এরপর সকাল থেকে বমি এবং পায়খানা। এরপর আমরা চিকিৎসা করানোর জন্য কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করাই। একের পর এক গ্রামবাসীরা এখানে ভর্তি হয়েছেন।’ পার্বতী ঘড়ুই নামে আর এক এলাকাবাসী বলেন, ‘রাধা অষ্টমী পুজো উপলক্ষে প্রতিবেশীর বাড়িতে প্রসাদ খেতে গিয়েছিলাম। প্রসাদ খাওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় পেটে ব্যথা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পায়খানা ও বমি। চিকিৎসার জন্য কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ছুটে এসেছি। এখানে এসে দেখি গ্রামের বেশ কয়েকজন যারা ওই প্রসাদ খেয়েছে তারা একই রকম সমস্যার মধ্যে পড়েছে।’ আপাতত ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে ৪০ জন গ্রামবাসী ভর্তি কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর তৎপরতার সঙ্গে অসুস্থদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে। পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রয়োজনে অসুস্থদের অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।