প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তরে হামলায় মূল অভিযুক্ত রাকেশ সিং গ্রেপ্তার...
আজকাল | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ট্যাংরা থেকে গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর ভাঙচুরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল তাঁর। তবে ঘটনার পর থেকেই ‘পলাতক’ ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে কলকাতার ট্যাংরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর ভাঙচুরের ঘটনায় এর আগে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন রাকেশের পুত্র শিবম সিংও। এ ছাড়াও রাকেশের তিন ঘনিষ্ঠ বিজয়প্রসাদ ধানুক, সন্তোষকুমার রাজভর এবং দিব্যেন্দু সামন্তকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তবে পাঁচ দিন ধরে অধরাই ছিলেন ভাঙচুরের ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত রাকেশ। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হবে রাকেশকে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সে সময়ে কংগ্রেসের দপ্তরে বিশেষ কেউ ছিলেন না। অভিযোগ, সেই সুযোগ নিয়ে তাণ্ডব চালানো হয় দপ্তরে। গেটের বাইরে কংগ্রেস নেতাদের ছবিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পোড়ানো হয় পতাকাও। অভিযোগ, রাকেশের নেতৃত্বে একদল সমর্থক বিধান ভবনে ঢুকে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটান। হামলার ঘটনায় শুক্রবারই রাকেশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। অস্ত্র আইন–সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয় এন্টালি থানায়। সে দিনের ঘটনায় আর এক নেতা প্রতীক পাণ্ডের নামও জড়িয়েছিল।
এটা ঘটনা, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’য় বিহারের দ্বারভাঙা থেকে মুজফ্ফরপুর যাচ্ছিলেন রাহুল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, তেজস্বী যাদবরা। অভিযোগ, দ্বারভাঙায় কংগ্রেসের একটি মঞ্চ থেকে বছর কুড়ির এক তরুণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর প্রয়াত মাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। সেই থেকে সংঘাতের সূত্রপাত। তার জেরেই কলকাতায় কংগ্রেসের দপ্তরে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় রাকেশের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে ট্যাংরার এক আবাসন থেকে মঙ্গলবার রাতে রাকেশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।