অয়ন ঘোষাল: কলকাতা বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়া হয়ে শহীদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত সরাসরি মেট্রো পরিষেবা জারি রেখেছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেই পরিষেবা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ নোয়াপাড়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দর এবং কলকাতা বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়ার মধ্যেই বর্তমানে মেট্রো পরিষেবা চলাচল করবে। উত্তর-দক্ষিণ করিডর বা ব্লু লাইনে মেট্রো পরিষেবা নিতে হলে নোয়াপাড়া নেমেই মেট্রো ধরতে হবে।
ব্লু লাইন অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর থেকে শহীদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা ২৮৪ থেকে কমিয়ে ২৬২ করা হল। অর্থাৎ যাত্রী চাপ এবং বিভ্রাট নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে পরিষেবা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিত্যদিন টালিগঞ্জ বা মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশন থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবায় বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে রিভার্সাল পয়েন্টে। সে কারণেই এবার থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশনে ৩টি রেক এবং নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে ৩টি রেক অতিরিক্ত রাখা থাকবে।
যদি শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে মেট্রো রিভার্সাল পয়েন্টের সমস্যার জন্য ডাউন লাইন থেকে আপ লাইনে ঘোরাতে সমস্যা হয়, তাহলে ওই ৩টি রেক উত্তম কুমার থেকে বের করে যাত্রী পরিষেবার জন্য ব্যবহার করা হবে। একইভাবে নোয়াপাড়ার দিকে সমস্যা দেখা দিলে সেখানে রাখা অতিরিক্ত ৩টি রেক যাত্রি পরিষেবার কাজে ব্যবহার করা হবে।
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে টালিগঞ্জ নিয়েও। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন চালু হওয়ার পর সেখানকার কারশেড ব্যবহার হত। কিন্তু বিপর্যয়ের পর একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে মেট্রো পরিষেবায়। তাই এবার পুনরায় টালিগঞ্জ স্টেশনের কারশেড চালু করার সিদ্ধান্ত নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছু মেট্রো সেই কারশেডে রাখা হবে। কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনের কারশেড পর্যন্ত রেক নিয়ে যাওয়া হবে না।
সকালের দিকে মেট্রো পরিষেবা যাতে মসৃণ থাকে, তার জন্য একাধিক যান্ত্রিক এবং প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে।