• ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় সর্বস্ব হাতিয়ে নেন সৎ পুত্র রাহুল! বিস্ফোরক দাবি কন্যা বিধির
    প্রতিদিন | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৫ সালে গোটা দেশ চমকে উঠেছিল বেসরকারি মিডিয়ার কর্ণধার ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারিতে। নিজের মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে ২০২২ সালে জামিন পান তিনি। এবার তাঁর মেয়ে বিধি মুখোপাধ্যায় দাবি করলেন, সিবিআইয়ের চার্জশিট ‘জাল’! সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, ইন্দ্রাণীর সাত কোটি টাকা ও সমস্ত গয়না হাতিয়ে নিয়েছিলেন তাঁর দুই ছেলে রাহুল ও রবিন!

    এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার বয়ান রেকর্ড করতে রাজি হননি বিধি। তবে সিবিআই আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বিধি দাবি করেন, গ্রেপ্তার হওয়ার পর নিজের সপক্ষে লড়াই করার পুঁজিটুকুও হারিয়েছিলেন তাঁর মা ইন্দ্রাণী। পিটার মুখোপাধ্যায়ের ছেলেরাই সব টাকা-গয়না হাতিয়ে নেন। ইন্দ্রাণীকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোই উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের। সেই সঙ্গেই ইন্দ্রাণীকন্যার আরও দাবি, মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তাঁর মা। এবং সেই অবস্থাতেই তাঁকে ডেকে পাঠায় মুম্বই পুলিশ।

    কিন্তু কেন বয়ান রেকর্ড করতে রাজি হলেন না বিধি? জানা যাচ্ছে, তাঁকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল। পরে সেগুলোই শিনার সঙ্গে ইমেলে তাঁর কথোপকথনের প্রতিলিপি বলে দাবি করা হয়। সেই সঙ্গেই সিবিআইয়ের চার্জশিটে তাঁর নামে যে যে নথি যুক্ত করা হয়েছে সবগুলিই ‘জাল’ বলে দাবি করেন তিনি। যে সময় শিনাকে খুন করা হয় সেই সময় নাবালিকা ছিলেন বিধি। তাঁর দাবি, মায়ের গ্রেপ্তারি তাঁকে অবসাদগ্রস্ত করে তুলেছিল। সেই ‘আঘাত’ এখনও রয়েছে।

    ২০১৫ সাল। গোটা দেশ চমকে উঠেছিল এক বেসরকারি মিডিয়ার কর্ণধার ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারিতে। কী অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে? নিজের মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যা করা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, শিনা ইন্দ্রাণীর বোন। কিন্তু পরে জানা যায়, শিনা ইন্দ্রাণী ও তাঁর প্রথম স্বামী সঞ্জীব খান্নার সন্তান। ২০০২ সালে সঞ্জীবের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে পিটার মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন ইন্দ্রাণী। প্রথমে পিটারের কাছে নাকি নিজের মেয়েকে বোন হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী। পিটারের ছেলে রাহুলের সঙ্গে নাকি আবার শিনার সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল।

    অভিযোগ, ২০১২ সাল থেকে শিনার কোনও খোঁজ পাননি রাহুল। শুধুমাত্র তাঁর ফোনে শিনার তরফ থেকে একটি ব্রেকআপ মেসেজ এসেছিল। সেই সময় নাকি ইন্দ্রাণী বলেছিলেন, শিনা আমেরিকায় চলে গিয়েছেন। শিনার খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২০১৫ সালে ভিন্ন একটি মামলায় ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যাম রাইয়ের গ্রেপ্তারির পরে। সে বছরের আগস্ট মাসে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে শিনা বোরার খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব ও বর্তমান স্বামী পিটারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে পিটার-ইন্দ্রাণীর ডিভোর্স হয়। ২০২০ সালে পিটার শর্ত সাপেক্ষে জামিন পান। আর ছয় বছর আন্ডারট্রায়ালে থাকার পর ইন্দ্রাণী জামিন পান ২০২২ সালে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)