রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: হাতি ও চিতার দাঁত পাচারের আগে গ্রেপ্তার দম্পতি। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে তাদের ধরল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিশেষ দল। ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়েছে। কী করে তাঁরা বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পেল? পিছনে কোনও বড়সড় চক্র কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে বনদপ্তর।
ধৃত দম্পতির নাম পরিমলচন্দ্র দে ও দেবযানী রায় দে। তাঁরা কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার ঝিনাইডাঙা এলাকার বাসিন্দা। বনদপ্তরের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে ওই দম্পতির কাছে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ রয়েছে। তাঁরা সেটি পাচারের চেষ্টা করছেন। চালানো হয় বিশেষ অভিযান। জঙ্গল লাগোয়া সোনাপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের থেকে তিন টুকরো হাতির দাঁত (ওজন আনুমানিক ২ কিলো) ৪টি চিতার দাঁত। এবং একটি ছোট গাড়ি উদ্ধার হয়েছে।
ধৃত পরিমলের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম অপরাধের অভিযোগ নয়। আগেও দুষ্কৃতী আচরণের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরিমলের বিরুদ্ধে দু’টি অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। জেলেও ছিলেন তিনি। সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছেন। তারপর ফের অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, দেবযানী পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট। তাঁর বিরুদ্ধে পূর্ব কোনও অপরাধের অভিযোগ না থাকলেও, তিনি এই পাচারচক্রের লিংকম্যান হিসাবে কাজ করেন বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পারভিন কাশোয়ান বলেন,” গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। অভিযানে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের থেকে হাতি ও চিতার দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”