‘চক্রান্ত হয়েছে’, সাসপেন্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দল ছেড়ে বিস্ফোরক কবিতা
প্রতিদিন | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মেয়ে কে কবিতাকে মঙ্গলবারই সাসপেন্ড করেছিলেন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এবার নিজেই বিআরএসের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেন কেসিআর-কন্যা। বুধবার দল ছাড়ার পাশাপাশি তেলঙ্গানা বিধান পরিষদের সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তারপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কবিতা। বলেন, “আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে।”
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে দল এবং বিধান পরিষদের সদস্যপদ ছাড়ার ঘোষণা করেন কবিতা। তিনি বলেন, “কেসিআর আমার অনুপ্রেরণা। তেলেঙ্গানায় দলিত এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষদের প্রতি তিনি ন্যায়বিচার করেছেন। কিন্তু দলের অন্দরেই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। দলীয় কার্যালয় থেকেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই সব কিছুর মূলে রয়েছেন তাঁর তুতো দাদা হরিশ রাও। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে মিলে তিনি চক্রান্তের বীজ বপন করেছেন। পাশাপাশি, কবিতা আঙুল তুলেছেন তাঁর আরও এক তুতো ভাই সন্তোষের দিকেও। কেসিআর-কন্যার স্পষ্ট বক্তব্য, তাঁর দুই তুতো ভাই নিজেদের স্বার্থে পরিবার ভেঙেছেন।”
প্রসঙ্গত, ভাই কেটি রামা রাওয়ের (কেটিআর) সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরেই কবিতাকে দল থেকে বিতাড়িত করা হয়। বছর দুই আগে তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের কাছে পরাস্ত হয় বিআরএস। তারপর থেকেই কার্যত অন্তরালে কেসিআর। এদিকে রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর ভাঙন শুরু হয় দলেও। কেসিআরের সক্রিয়তার অভাবে দলের ভার চলে যায় তাঁর ছেলে কেটিআরের হাতে। দলে ভাইয়ের এই উথ্থানে অসন্তুষ্ট কবিতা লাগাতার কেটিআর এবং দলের অন্য নেতাদের টার্গেট করছিলেন। শুধু তাই নয়, কেসিআর ঘনিষ্ঠ বহু নেতা যে তাঁর নাম ভাঙিয়ে দুর্নীতি করে চলেছেন সেটাও প্রকাশ্যে একাধিকবার দাবি করেন কবিতা। সম্ভবত সেকারণেই ক্ষুব্ধ হয় কেটিআর এবং কেসিআরের ঘনিষ্ঠ মহিল। তাঁদের চাপেই মেয়েকে দল থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দল ছেড়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কবিতা।