• জিএসটি কমাতে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে, কেন্দ্রের কাছে দাবি বিরোধী রাজ্যগুলির
    প্রতিদিন | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিএসটি কাঠামোয় বদলে এলে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্যগুলির যে রাজস্ব ক্ষতি হবে সেটার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রকেই। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল বিরোধী রাজ্যগুলি। এই বিষয়টি নিয়ে একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যও চিন্তিত বলে সূত্রের খবর।

    স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জিএসটি ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন। দীপাবলিতে দেশের মানুষের জন্য কেন্দ্রের বড় উপহার ‘নেক্সট জেনারেশন জিএসটি’। এই নতুন কর কাঠামোয় করের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। জিএসটির পাঁচটি মূল স্ল্যাব রয়েছে। শূন্য থেকে ২৮ শতাংশের মধ্যে ভাগ করা রয়েছে এই পাঁচ স্ল্যাব। অধিকাংশ পণ্যের উপর ১২ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ কর প্রযোজ্য। বর্তমানে প্রায় ২১ শতাংশ পণ্যের উপর রয়েছে ৫ শতাংশ কর। ১৯ শতাংশ পণ্যে ১২ শতাংশ কর এবং ৪৪ শতাংশ পণ্যে ১৮ শতাংশ কর রয়েছে। জানা গিয়েছে, সরকার ১২ শতাংশ কর পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে। ১২ শতাংশ করের আওতায় থাকা পণ্য ও পরিষেবাগুলোকে ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশের শ্রেণিতে ভাগ করে দেওয়া হতে পারে।

    বিরোধী রাজ্যগুলির বক্তব্য, কেন্দ্র সরকারের প্রস্তাবমতো পণ্য পরিষেবা করের (জিএসটি) হার কমানোয় কোনও আপত্তি নেই বিরোধী রাজ্যগুলির। তবে সেই সঙ্গে দাবি, রাজস্ব ক্ষতিপূরণের রাস্তা বার করতে হবে কেন্দ্রকেই। গত মাসেই এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছিল বিরোধীদের দখলে থাকা রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীরা। বাংলার নেতৃত্বে সেই বৈঠকে ঠিক হয়, ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য চাপ বাড়াতে হবে কেন্দ্রের উপরই। অন্য বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি সেই দাবিতে একমত হয়। রাজ্যগুলির হিসাবে, কেন্দ্রের এই প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়িত হল বিরাট অঙ্কের রাজস্বক্ষতি হবে রাজ্যগুলির।

    সূত্রের খবর, বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেও রাজ্যগুলি বিষয়টি কেন্দ্রের সামনে উত্থাপন করে। আরও একটি বিষয়ে এদিন রাজ্যগুলি উদ্বেগপ্রকাশ করে সেটা হল নতুন এই জিএসটি কাঠামোর সুবিধা সাধারণ নাগরিকরা পাবেন তো? রাজ্যগুলির বক্তব্য, কেন্দ্রকেই নিশ্চিত করতে হবে যে নতুন জিএসটি কাঠামোর ফলে শুধু ব্যবসায়ীদের পকেট না ভোরে সাধারণ মানুষের কাছেও সেই সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)