প্রাক্তনের সঙ্গে এখনও বিবাদ! ‘একসঙ্গে বসে মিটিয়ে নিচ্ছেন না কেন?’, মহুয়া ও জয়কে ধমক হাই কোর্টের
প্রতিদিন | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক সময় বলেছিলেন ‘জিল্টেড এক্স’। লোকসভা ভোটের আগে দুজনের মধ্যে বিবাদ সাময়িকভাবে মিটেও গিয়েছিল। মহুয়ার বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা প্রত্যাহার করেছিলেন প্রাক্তন প্রেমিক জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। কিন্তু পোষ্য হেনরিকে নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ এখনও মেটেনি। দু’পক্ষেরই দাবি, হেনরির কাস্টডি তাঁদের চায়। মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত আদালতও বিরক্ত হয়ে দুজনকে একসঙ্গে বসে সমস্যা মেটানোর পরামর্শ দিল।
মহুয়া এবং জয়ের মধ্যে বিবাদের অন্যতম কারণ তাঁদের পোষ্য রট হুইলার হেনরি। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হেনরিকে চুরি করার অভিযোগ এনেছেন। মহুয়া দাবি করেছিলেন হেনরি তাঁর। এবং জয়ের সঙ্গে যৌথভাবে হেনরির দেখভালের দায়িত্ব চান তিনি। জয়েরও দাবি, হেনরি তাঁর। ৪০ দিন বয়স থেকে হেনরি তাঁর সঙ্গে রয়েছে। তিনিই কুকুরটিকে কিনেছিলেন। আসলে মহুয়া হেনরিকে ব্যবহার করে তাঁর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছেন। তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জয়ের আরও অভিযোগ ছিল, এই মামলায় নিম্ন আদালত তাঁকে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে বারণ করেছে। সেটা তাঁর বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।
পুরো বিষয়টি নিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেন তিনি। ওই মামলায় দিল্লি হাই কোর্ট দু’জনকেই ধমক দেয়। এদিন বিচারপতি মনোজ জৈন পর্যবেক্ষণে বলেন, “দু’জনে একসঙ্গে বসে সমস্যা মিটিয়ে নিচ্ছেন না কেন?” মহুয়ার যৌথ দেখভালের দায়িত্ব নিয়ে আদালতের প্রশ্ন, “আলোচনা করে মেটাতে সমস্যা কী? মামলা থেকে কী চাইছেন তিনি?” শেষমেশ দুপক্ষ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সেই আলোচনার নির্যাস আদালতকে জানাবে। আগামী ডিসেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
জয় এবং মহুয়া একসময় সম্পর্কে ছিলেন। পরে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনেন ওই আইনজীবী। মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগও তিনিই প্রকাশ্যে আনেন। ক্ষোভে মহুয়া জয়কে জিল্টেড এক্স নামেও কটাক্ষ করেছিলেন।