সম্পত্তির লোভে মুর্শিদাবাদে মাকে পিটিয়ে ‘খুন’ ছেলের, সঙ্গী স্ত্রী ও শাশুড়ি?
প্রতিদিন | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবার মৃত্যুর পর থেকেই মায়ের নামে রয়েছে দশ কাঠা ধানজমি ও দেড় কাঠা জমির উপরে বাড়ি। এই নিয়েই এক বছর ধরে বাড়িতে বিবাদ চলছিল। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার ছেলে বহুদিন ধরেই মাকে কখনও ভালোভাবে বুঝিয়ে আবার কখনও মারধর করে ওই সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত সম্পত্তির জন্য নিজের মাকেই পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলে ও বউমার বিরুদ্ধে। ছেলে-বউমাকে খুনে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে বউমার মায়ের বিরুদ্ধেও।
বুধবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার কুমরাই গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার নাম অঞ্জলি মণ্ডল। তাঁর বয়স ছিল ৬৪ বছর। বৃদ্ধার মেয়ে চিন্তা মণ্ডলের অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরে আমার মাকে শারীরিকভাবে অত্যাচার করত আমার দাদা, বউদি এবং বউদির মা।” চিন্তা মণ্ডল সরাসরি দাদা এবং বউদির বিরুদ্ধে মাকে খুনের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “আমার মাকে তিনজন মিলে খুন করেছে।” এই অভিযোগের পরেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামবাসীদের দাবি, বৃদ্ধার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বড়ঞা থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বৃদ্ধার জামাই বীরভূমের তারাপীঠ থানার হাজিপুরের বাসিন্দা সুরেশ মণ্ডলের অভিযোগ, “আমার শাশুড়ি গত ৬ মাস ধরে আমার কাছেই ছিল। ছেলের কাছে আসলেই ওরা তিনজন মিলে ওঁকে খেতে দিত না। মারধর করত। জমিজায়গা, সম্পত্তি লিখে দিতে বলত। কিন্তু আমার শাশুড়ি তাতে রাজি ছিলেন না। সম্ভবত সে কারণেই ওঁকে মঙ্গলবার রাতে পিটিয়ে খুন করা হয়। বুধবার সকালে গ্রামবাসীদের কাছে আমরা খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে দেখি শাশুড়ির শরীরে বিভিন্ন জায়গায় কালসিটে এবং রক্তের দাগ। পুলিশকে সবকিছু জানিয়েছি। এই ঘটনায় ৩ জনের নামে অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা ওদের কঠোর সাজা চাই।”