বুধবার দেগঙ্গার নুরনগর পঞ্চায়েতের খেজুরডাঙা গ্রামের এই ঘটনা জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খেজুরডাঙা গ্রামে একটি ব্যাগ তৈরির কারখানায় কাজ করে বেশ কিছু শিশু শ্রমিক। বুধবার কাজ চলাকালীন দুই শিশু শ্রমিকের মধ্যে গোলমাল বাঁধে। এই ঘটনায় কারখানার মালিকের বাবা মজিদ মণ্ডল এক শিশু শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করে বলেই অভিযোগ উঠেছে।
প্রচণ্ড মারে অজ্ঞান হয়ে যায় সে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে, পরে বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কারখানা মালিকের বাবা মজিদ মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন, “ওই শিশুটি আমার নাতিকে মেরেছিল। আমি ওদের ছাড়িয়ে দিয়েছি। কোন মারধর করা হয়নি।”
উল্লেখ্য, এর আগে ২৮ মে থেকে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালক। মহেশতলার জিনসের ধোলাই কারখানায় উলটো করে ঝুলিয়ে বিদ্যুত শক দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ভয়াবহ যন্ত্রণার ভিডিও সমাজ মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের ছ’ঘরিয়ার কিশোর নিখোঁজ হয়ে যায়। ৪২ দিন পর বাড়ি ফেরে সে।