• পাঞ্জাবকে বন্যা বিপর্যস্ত রাজ্য ঘোষণা, ৬০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য চেয়ে চিঠি মানের
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • চণ্ডীগড়: ফিরে এল দুঃস্বপ্ন। ১৯৮৮ সালের পর ২০২৫। ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন ভারতের শস্যভাণ্ডার পাঞ্জাব। একটানা অতিভারী বৃষ্টিতে জলের তলায় রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে শতদ্রু, বিপাশা ও ইরাবতী নদীর জল। ১ হাজার ৪০০টি গ্রাম জলের তলায়। সাড়ে তিন লক্ষের বেশি বাসিন্দা বানভাসি। তার সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ইতিমধ্যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবকে বন্যায় বিপর্যস্ত রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করল আপ সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ৬০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য চেয়ে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। 

    সরকারি রিপোর্ট বলছে, রাজ্যের ২৩টি জেলাই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। প্রায় ২০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য শুরু করেছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি ৮১৮টি মেডিক্যাল টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। বন্যায় সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। তিন লক্ষ ৭৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল জলমগ্ন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার পাঞ্জাবকে বন্যা বিপর্যস্ত রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব কে এ পি সিনহা।

    ইতিমধ্যে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে চিঠিতে কৃষকদের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছেন। পাঠানকোট, গুরুদাসপুর, হোশিয়ারপুর, কাপুরথালা, তরণ-তারণ, ফিরোজপুর, ফাজিলকা,জলন্ধর ও রূপনগর জেলায় বন্যা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। পাঠানকোট জেলায় ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন তিন। এছাড়াও লুধিয়ানায় চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সবমিলিয়ে রাজ্যে মোট ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছে আপ সরকার। ভাঁকরা বাঁধের জল প্রায় বিপদ সীমা ছুঁয়েছে।  ইতিমধ্যে বাঁধ থেকে ৭৫ হাজারের বেশি কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। জল ছাড়া হয়েছে পং বাঁধ থেকেও। তার জেরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আটটি জেলায় বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। ১৯৮৮ সালেও ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছিল পাঞ্জাব। সেূার মৃত্যু হয়েছিল ৫০০ জনের।
  • Link to this news (বর্তমান)