বিহারে রাহুলের দ্বারস্থ মতুয়ারা, বাংলার ভোটের আগে অশনি সংকেত গেরুয়া শিবিরে?
বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পাটনা: ভোটার তালিকায় স্পেশ্যাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ভোটাধিকার, নাগরিকত্ব সহ নানা ইস্যুতে আতঙ্কে আমজনতা। এবার সেই আতঙ্ক ঢুকে পড়েছে মতুয়াদের অন্দরেও। এই পরিস্থিতিতে গত ৩০ আগস্ট বিহারের সারন জেলার একমায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দ্বারস্থ হলেন মতুয়ারা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির এক নেতাও। সেখানে তাঁদের স্লোগান - ‘রাহুল দাদা কাম টু বেঙ্গল। এসআইআরে বিপদ, কংগ্রেসে নিরাপদ।’ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাহুলের সঙ্গে মতুয়া প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, ঠাকুরবাড়ির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরেই কি মতুয়া-রাজনীতির সমীকরণ বদলাচ্ছে। বঙ্গ রাজনীতিতে মতুয়ারা বরাবর ফ্যাক্টর। তৃণমূলকে বিপাকে ফেলতে ও মতুয়াদের খুশি করতে ইতিমধ্যেই শান্তনু ঠাকুরকে পদ দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। ফলে অশনি সংকেত দেখছে বিজেপি।
৩০ আগস্ট মতুয়াদের ২৪ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর বৈঠক হয়। এক সদস্যের কথায়, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে প্রায় ১৫ মিনিট কথা হয়েছে। তিনি আমাদের যাবতীয় সমস্যার কথা শুনেছেন। এসআইআর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন।
বিজেপির দাবি, ওদের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে স্থানীয় বিজেপি নেতা তপন হালদারের উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তি কিছুতেই ঝেড়ে ফেলতে পারছে না পদ্ম ব্রিগেড। ইতিমধ্যেই দলের তরফে তাঁকে শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও একাধিক প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ভোটের সময় ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি, সিএএ-র টোপ। চলে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি। আর বাকি সময় এনআরসি,এসআইআরের আতঙ্ক। অর্থাৎ সার্বিকভাবে আশাভঙ্গ। প্রশ্ন উঠছে, এর জেরে কি তাহলে বিজেপির দিক থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন মতুয়ারা?