নয়াদিল্লি: লস্কর-ই-তোইবার ছায়া সংগঠন টিআরএফের অর্থের জোগান কোথা থেকে আসছে? পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে জঙ্গি হামলার তদন্তে নেমে এবিষয়ে বিস্ফোরক তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানতে পেরেছে, পাকিস্তানের পাশাপাশি আরও একাধিক দেশ থেকে আর্থিক মদত পাচ্ছে টিআরএফ। পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পরপরই দায় স্বীকার করেছিল উপত্যকায় লস্করের ছায়া সংগঠন হিসেবে কাজ করা টিআরএফ। কিন্তু এই সংগঠনটির কাছে কোথা থেকে ও কোন পথে আর্থিক মদত আসছে? উত্তর পেতে কম করে ৪৬৩টি ফোন কল খতিয়ে দেখে এনআইএ। এই ফোনালাপগুলির নেপথ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও ভারত বিরোধী একাধিক ব্যক্তি ও সংগঠন। পাশাপাশি মোবাইল ডেটা, সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সহ বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেই সূত্রেই টিআরএফের আর্থিক নেটওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এনআইএ জানতে পেরেছে, লস্করের এই ছায়া সংগঠনের ঘরে টাকা আসছে পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও পশ্চিম এশিয়ার উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে। আর সেই মদতের হাত ধরেই গোটা উপমহাদেশে জাল ছড়াচ্ছে টিআরএফ।
এনআইএর গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ইয়াসির হায়াত নামে মালয়েশিয়ার এক বাসিন্দার কাছ থেকে ন’লক্ষ টাকা এসেছে টিআরএফের কাছে। লস্কর-ই-তোইবার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি সাজিদ মিরের সঙ্গেই তাদের সক্রিয় যোগাযোগ রয়েছে। শ্রীনগর ও হান্দওয়ারায় একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে টিআরএফের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। এই সংগঠনের বিদেশি অনুদান কোথা থেকে আসছে, তার শক্তপোক্ত তথ্য হাতে এসেছে এনআইএর। পাকিস্তানকে ফের ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সে’র (এফএটিএফ) কঠোর ব্যবস্থার মুখে ঠেলে দিতে ভারতের হাত শক্ত করবে এইসব তথ্য।