প্রবল বর্ষণে হিমাচলে ধস, জলস্তর বাড়ছে চন্দ্রভাগা ও ঝিলম নদীতেও
বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চণ্ডীগড় ও বিশেষ সংবাদদাতা, শ্রীনগর: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের মান্ডি। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত সাত জন। তাদের মধ্যে চার জন একই পরিবারের। এছাড়া, আরও একজনের কোনও খোঁজ মিলছে না। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টির জেরে সুন্দরনগর মহকুমার জানগামবাগে মঙ্গলবার রাতে ধস নামে। তাতে দু’টি বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাতে একই পরিবারের চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। খবর পেয়ে সেখানে আসেন উদ্ধারকারী দল। দুর্যোগের মধ্যেও ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে প্রাণের খোঁজ করতে থাকেন তাঁরা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।অন্যদিকে, কুলুতেও গভীর রাতে জনবসতি এলাকায় ধসের জেরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। মাণ্ডি, কাংড়া, সিরমাউর, কিন্নৌর সহ একাধিক জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহওয়া দপ্তর। উনা ও বিলাসপুরে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। কিন্নৌরে ধসের জেরে নাথপা ও ওয়াংটু সংযোগকারী ৫ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একাধিক গাড়ি-ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জরুরি ব্যবস্থাপনা দপ্তর সূত্রে খবর, সাতটি জাতীয় সড়ক সহ দেড় হাজারের বেশি রাস্তা ধসের জেরে বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে, ধারাবাহিক বৃষ্টির জেরে জম্মু ও কাশ্মীরেও প্লাবনের ভ্রুকুটি। ইতিমধ্যেই একাধিক নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কাশ্মীরকে বাকি দেশের সঙ্গে সংযোগকারী শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কও বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে টানা বৃষ্টি চলছে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ের কাজিগুন্দে প্রায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে জম্মুর চন্দ্রভাগা ও কাশ্মীরের ঝিলম নদীর জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। জম্মুতে বন্যা সতর্কতা জারি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বৈশ নালা, শেষনাগ নালা ও লিড্ডের নালার জল বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে। পরিস্থিতি একইরকম থাকলে এদিনই বন্যা ঘোষণা করা হবে। এই জেলা থেকে ২৫টি বানজারা পরিবারকে উদ্ধার করেছে প্রশাসন। জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় তারা একটি সেতুর তলায় আটকে পড়েছিল। গোটা পরিস্থিতিতে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সূত্রের খবর, বুধবার ভোরে রাজৌরি জেলায় কাংরি গ্রামে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। চন্দ্রভাগার জল বৃদ্ধি হওয়ায় আকনুরের গরখাল গ্রামের কমপক্ষে ৪০ জন আটকে পড়েন।